জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশের প্রতিক্রিয়ায় এর কার্যক্রম নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। তিনি অভিযোগ করেছেন, কমিশন জাতীয় ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার বদলে ‘জাতীয় অনৈক্য প্রতিষ্ঠার’ একটি প্রচেষ্টা গ্রহণ করেছে।
মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) বিকেলে সচিবালয়ে আইন উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। কার্যক্রম শেষ করায় তিনি ঐকমত্য কমিশনকে ধন্যবাদও জানান।
সনদে স্বাক্ষর বহির্ভূত বিষয় যুক্ত করার অভিযোগ
ঐকমত্য কমিশন গতকাল (২৭ অক্টোবর) জুলাই সনদ বাস্তবায়নের উপায়-সম্পর্কিত যেসব সুপারিশ প্রধান উপদেষ্টার কাছে জমা দিয়েছে, তার খসড়া নিয়ে সালাহউদ্দিন আহমদ অসন্তোষ প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন:
- স্বাক্ষরিত সনদের লঙ্ঘন: যে জুলাই জাতীয় সনদে রাজনৈতিক দলগুলো স্বাক্ষর করেছে, সেই স্বাক্ষরিত সনদ বহির্ভূত অনেক পরামর্শ বা সুপারিশ সনদ বাস্তবায়নের আদেশের খসড়ায় যুক্ত করা হয়েছে।
- ‘নোট অব ডিসেন্ট’ বাদ: তিনি উল্লেখ করেন, ৮৪টি দফার জুলাই জাতীয় সনদে বিএনপি এবং অন্যান্য দলের কিছু ‘নোট অব ডিসেন্ট’ (ভিন্ন মত) রয়েছে। সনদের প্রিন্টেড বইয়ে পরিষ্কারভাবে উল্লেখ আছে যে, ভিন্নমত পোষণকারী দলগুলো নির্বাচনের ইশতেহারে তা উল্লেখ করে ম্যান্ডেট পেলে সেটি বাস্তবায়ন করতে পারবে। “অথচ বিস্ময়করভাবে আজকে যে সংযুক্তিগুলো দেওয়া হলো সুপারিশমালার সাথে, সেখানে এই নোট অব ডিসেন্টের কোনো উল্লেখ নাই।”
‘সংবিধান সংস্কার পরিষদ’ নিয়ে আপত্তি
সালাহউদ্দিন আহমদ গণভোট আয়োজনের বিষয়ে কমিশনের সুপারিশে থাকা নতুন একটি বিষয় নিয়েও আপত্তি জানান। কমিশনের আলোচনায় বিএনপির প্রতিনিধিত্ব করা এই নেতা বলেন:
- নতুন সংযোজন: সুপারিশমালায় ‘সংবিধান সংস্কার পরিষদের’ নামে একটি ধারণা যুক্ত করা হয়েছে, যা আগে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনে কখনো টেবিলে ছিল না বা আলোচিত হয়নি। এ বিষয়ে কোনো ঐকমত্যও হয়নি।
- সম্ভাব্য নতুন আলোচনা: তিনি ইঙ্গিত দেন, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে এই সমস্যাটি নিয়ে হয়তোবা আবার আলোচনা হতে পারে।







