আসাদের পতনের প্রথম বার্ষিকী: সিরিয়ায় উৎসবের মাঝে নতুন স্বপ্ন ও চ্যালেঞ্জ

সিরিয়া জুড়ে আজ উৎসবের রঙ। বাশার আল-আসাদের ৫৩ বছরের শাসনের অবসানের প্রথম বার্ষিকী উদযাপন করছে জনতা। আতশবাজি, জাতীয় পতাকা আর গানে মুখরিত রাস্তাঘাট। ২০২৪ সালের ৮ ডিসেম্বর ১১ দিনের বিদ্যুৎগতিতে আক্রমণে আসাদ পালিয়ে যান রাশিয়ায়। আজ সেই দিনের স্মৃতি উদযাপন করছে সিরিয়াবাসী।

প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারা দামেস্কে সংবাদ সম্মেলনে বলেন, “আজ আমরা স্বৈরশাসনের শেকল থেকে মুক্তির এক বছর পূর্ণ করলাম। যারা সাহসের সঙ্গে লড়েছেন, তারা ইতিহাস রচনা করেছেন। আমরা একটি শক্তিশালী, ন্যায়ভিত্তিক সিরিয়া গড়ব। কেউ আমাদের পথে বাধা হয়ে দাঁড়ালে তাকে পরাজিত করব।”

সকালে উমাইয়া মসজিদে ফজরের নামাজ আদায় করেন প্রেসিডেন্ট শারা। দামেস্ক, হামা, হোমস, দেইর আজ জোরে সামরিক প্যারেড হয়েছে।

এক বছরে কী বদলাল?
– ন্যূনতম বেতন বাড়ানো হয়েছে।
– আলেপ্পো, হোমস, দামেস্কে ১৫ বছর পর নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু।
– সেদনায়া, মেজ্জেহ ও খতিবের কুখ্যাত কারাগার বন্ধ।

কিন্তু আলেপ্পো থেকে আল জাজিরার প্রতিবেদক বলছেন, “যুদ্ধের ক্ষতটা ক্ষতি হয়েছে তা দেখলে চোখে পানি চলে আসে। পুনর্গঠনের জন্য বিলিয়ন ডলার লাগবে।”

ফিরে আসা ও চ্যালেঞ্জ-
গত এক বছরে ৭ লাখ ৮২ হাজার শরণার্থী ফিরেছেন। কিন্তু চাকরির অভাব, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ও বাড়িঘরের অভাবে অনেকে আবার বিদেশে ফিরে যাচ্ছেন।

তরুণী মাহা খলিল বলেন, “আমাদের স্বপ্নের অর্ধেক পূরণ হয়েছে। যুদ্ধ শেষ হয়েছে, কিন্তু বাড়ি, চাকরি, সন্তান হারিয়েছি। এখন সত্যিকারের পুনর্গঠন শুরু। তবে অনেক তরুণ আবার বিদেশে যেতে চাইছে।”

সূত্র- আলজাজিরা

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top