ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর প্রশাসনের বিরুদ্ধে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের হুমকি বাড়ছে। মাদুরোকে মাদক পাচারের সঙ্গে জড়িত বলে অভিযোগ করে ট্রাম্প ক্যারিবিয়ান সাগরে সামরিক বাহিনী মোতায়েন করেছেন। এতে যুদ্ধের ছায়া পড়েছে লাতিন আমেরিকায়।
সাম্প্রতি ট্রাম্প মাদুরোকে ‘নারকো-টেররিস্ট’ বলে অভিযোগ করেছেন। সেপ্টেম্বর থেকে ক্যারিবিয়ানে ২১টি হামলায় ৮৩ জন নিহত হয়েছেন। মাদুরো বলছেন, এগুলো যুদ্ধের প্রস্তুতি।
মাদুরো মিরাফ্লোরেস প্রাসাদের সামনে ভিড়কে বলেন, “আমরা শান্তি চাই, কিন্তু দাসত্বের শান্তি নয়। উপনিবেশের শান্তি নয়!”
ট্রাম্পের সামরিক বাহিনী মোতায়েন:
ট্রাম্প সিআইএকে ভেনেজুয়েলায় গোপন অভিযানের অনুমতি দিয়েছেন। ক্যারিবিয়ানে ১৫,০০০ সেনা, ইউএসএস জেরাল্ড আর ফোর্ড ক্যারিয়ার এবং এফ-৩৫ জেট মোতায়েন করা হয়েছে। নভেম্বর ২০ তারিখে ট্রাম্প বলেন, “ভেনেজুয়েলায় স্থল হামলা শীঘ্রই হতে পারে।”
মাদুরো সাম্প্রতিক সামরিক মহড়া চালিয়েছেন।
মাদুরোর বিরুদ্ধে ট্রাম্পের অভিযোগ:
ট্রাম্প মাদুরোকে ‘কার্টেল দে লস সোলেস’-এর নেতা বলে অভিযোগ করেছেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটি কোনো কার্টেল নয়। মাদুরো বলছেন, এগুলো তেল দখলের অজুহাত।
ডেলাওয়্যারের একটি আদালত ভেনেজুয়েলার সিটগো তেল কোম্পানি বিক্রির নির্দেশ দিয়েছে। ভেনেজুয়েলা এটিকে ‘জোরপূর্বক বিক্রি’ বলে অভিযোগ করেছে।
ভেনেজুয়েলার অর্থনৈতিক সংকট:
বিশ্বের সবচেয়ে বড় তেল মজুদ রাখা ভেনেজুয়েলা ২০২৩ সালে মাত্র ৪ বিলিয়ন ডলারের তেল রপ্তানি করে। আমেরিকার নিষেধাজ্ঞা, অব্যবস্থাপনা ও অবকাঠামোগত সমস্যায় এই দেশের জিডিপি ১১৯.৮ বিলিয়ন ডলার—লাতিন আমেরিকার সবচেয়ে ছোট অর্থনীতিগুলোর একটি।
২০২৬ সালে মুদ্রাস্ফীতি ৬০০% পৌঁছাবে বলে আইএমএফ অনুমান করেছে। লক্ষ লক্ষ মানুষ প্রতিবেশী দেশে পালিয়েছে।
আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া:
মাদুরো ওপেককে চিঠি লিখে ‘অবৈধ হুমকি’র বিরুদ্ধে সহায়তা চেয়েছেন। কিন্তু সদস্যরা এখনো সাড়া দেয়নি।
সূত্র: আল জাজিরা, রয়টার্স







