দীর্ঘ চার দশকেরও বেশি সময় পর অবশেষে ক্রিকেটপ্রেমীদের বহু আকাঙ্ক্ষিত ভারত-পাকিস্তান ফাইনাল হতে যাচ্ছে। বুধবার দুবাইয়ে অনুষ্ঠিত এশিয়া কাপের সেমিফাইনালে বাংলাদেশকে ১১ রানের রোমাঞ্চকর ব্যবধানে হারিয়ে শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে জায়গা করে নিয়েছে পাকিস্তান। প্রথমে ব্যাট করে ১৩৫ রানের পুঁজি গড়েও দুর্দান্ত বোলিংয়ে তারা এই জয় নিশ্চিত করে।
পাকিস্তানের ধীর গতির শুরু ও শেষ দিকের প্রতিরোধ
টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই বিপর্যয়ে পড়ে পাকিস্তান। বাংলাদেশের বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের সামনে পাকিস্তানের টপ অর্ডার পুরোপুরি ব্যর্থ হয়। দুর্দান্ত ফর্মে থাকা তাসকিন আহমেদ মাত্র ৪ রানে ইন-ফর্ম ব্যাটসম্যান সাহেবজাদা ফারহানকে বিদায় করে দেন। এই উইকেটের মাধ্যমে তিনি টি-২০ ক্রিকেটে বাংলাদেশের তৃতীয় বোলার হিসেবে ১০০ উইকেটের মাইলফলক স্পর্শ করেন। এরপরও পাকিস্তানের ব্যাটিংয়ে ধস নামে, একপর্যায়ে ৪৯ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ফেলে তারা। তবে, সপ্তম উইকেটে মোহাম্মদ হারিস (৩১) ও মোহাম্মদ নওয়াজ (২৫) দৃঢ়তা দেখিয়ে দলের সংগ্রহকে ১৩৫ রানে নিয়ে যান, যা শেষ পর্যন্ত জয়ের জন্য যথেষ্ট প্রমাণিত হয়। বাংলাদেশের পক্ষে তাসকিন ৩টি এবং রিশাদ হোসেন ২টি উইকেট নেন।
বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ে তাড়াহুড়ো ও ব্যর্থতা
জবাবে ১৩৬ রানের সহজ লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমেও শুরুটা ভালো হয়নি বাংলাদেশের। শাহীন শাহ আফ্রিদির দুর্দান্ত বোলিংয়ের সামনে তারা নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে। যদিও বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা মোট ৭টি ছক্কা হাঁকান, যা পাকিস্তানের ৫টি ছক্কার চেয়ে বেশি, কিন্তু বাউন্ডারির খোঁজে গিয়েই তারা বারবার আউট হন। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩০ রান করেন শামীম হোসেন। কিন্তু তার একার লড়াই যথেষ্ট ছিল না। শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ ৯ উইকেট হারিয়ে ১২৪ রানে থামে। পাকিস্তানের হয়ে শাহীন আফ্রিদি এবং হারিস রউফ প্রত্যেকে ৩টি করে উইকেট শিকার করেন। বল হাতে ব্যর্থ হওয়া সাইম আইয়ুব অবশ্য দুটি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট নিয়ে দলের জয়ে অবদান রাখেন।
উল্লেখ্য, এই ম্যাচে বাংলাদেশের নিয়মিত অধিনায়ক ও সেরা ব্যাটসম্যান লিটন দাস এক টানা দ্বিতীয় ম্যাচের জন্য সাইড স্ট্রেইনের কারণে দলের বাইরে ছিলেন। তার অনুপস্থিতি দলের ব্যাটিংয়ে প্রভাব ফেলেছে বলে মনে করা হচ্ছে।
রোববার দুবাইয়ে এই দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারত ও পাকিস্তান এশিয়া কাপের ফাইনালে মুখোমুখি হবে।