গাজায় ইসরায়েলের হামলায় একদিনে নিহত ১০৪, মানবিক সংকটের চরম সতর্কতা

ইসরায়েলি বাহিনীর অব্যাহত হামলায় গাজা উপত্যকায় আজ কমপক্ষে ১০৪ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ৩৭ জন নিহত হয়েছেন রাফাহতে ত্রাণ সহায়তা বিতরণ কেন্দ্রগুলোর কাছে। এই ঘটনাগুলো গাজায় মানবিক পরিস্থিতি আরও নাজুক করে তুলেছে, যেখানে খাদ্য সংকট ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে।

গাজায় দুর্ভিক্ষের দ্বারপ্রান্তে হাজার হাজার মানুষ:

জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (WFP) জানিয়েছে, গাজার হাজার হাজার মানুষ “মারাত্মক ক্ষুধার দ্বারপ্রান্তে” রয়েছে।1 সংস্থাটি উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছে, উপত্যকার প্রতি তিনজনের মধ্যে একজন একাধিক দিন ধরে খাবার পাচ্ছে না। এই পরিস্থিতি গাজাবাসীর জন্য এক চরম মানবিক বিপর্যয় ডেকে এনেছে।

সিরিয়ায় যুদ্ধবিরতি ঘোষণা:

এদিকে, সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট সুয়েদা প্রদেশে ‘তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতি’ ঘোষণা করেছেন। এটি ওই অঞ্চলের দীর্ঘদিনের সংঘাতময় পরিস্থিতিতে কিছুটা স্বস্তি বয়ে আনতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।

যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান ইসরায়েলের, হামাসের দীর্ঘ যুদ্ধের প্রস্তুতি:

হামাস জানিয়েছে, ইসরায়েল তাদের পক্ষ থেকে দেওয়া একটি যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে। এই প্রস্তাবে গাজায় আটক সকল বন্দীর মুক্তির কথা বলা হয়েছিল। হামাস আরও অঙ্গীকার করেছে, যদি কোনো চুক্তি না হয়, তবে তারা দীর্ঘস্থায়ী যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত।

গাজায় ভয়াবহ হতাহতের চিত্র:

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ইসরায়েলের হামলায় গাজায় এ পর্যন্ত কমপক্ষে ৫৮,৭৬৫ জন নিহত এবং ১,৪০,৪৮৫ জন আহত হয়েছেন। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরের হামলায় ইসরায়েলে আনুমানিক ১,১৩৯ জন নিহত হন এবং ২০০ জনের বেশি ব্যক্তিকে জিম্মি করা হয়েছিল।

এই চলমান সংঘাত গাজা এবং বৃহত্তর অঞ্চলে অস্থিরতা বাড়িয়ে চলেছে, যার মানবিক ও রাজনৈতিক প্রভাব সুদূরপ্রসারী।

সূত্র- জাতিসংঘ বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (WFP)

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top