ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) একজন প্রবীণ যুদ্ধফেরত সেনা গাজা যুদ্ধ থেকে ফিরে আসা সৈন্যদের মধ্যে ক্রমবর্ধমান আত্মহত্যার হার নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি ইসরায়েল সরকারের প্রতি দ্রুত এই বিষয়টি সমাধানের আহ্বান জানিয়েছেন। জানা গেছে, গত দুই সপ্তাহেরও কম সময়ের মধ্যে অন্তত দশজন সেনা আত্মহত্যা করেছেন।
সৈন্যদের মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষার একজন সমর্থক, তজাখি আতেদাগি, ইসরায়েলের সরকারি সম্প্রচারমাধ্যম ‘কান’-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এই উদ্বেগজনক তথ্য জানান। তিনি ‘কান নেটওয়ার্ক বি’-এর ‘দিস মর্নিং’ অনুষ্ঠানে বলেন, “আমরা আর্তনাদ করছি। যথেষ্ট হয়েছে!”
আতেদাগি আরও উল্লেখ করেন, “অনেক যুদ্ধফেরত প্রবীণ সেনা রাস্তায় ঘুরে বেড়াচ্ছে, কিন্তু আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কারণে আমাদের (সাহায্য পাওয়া) খুবই কঠিন।” তিনি বেশ কয়েকটি ঘটনার কথা তুলে ধরেন যেখানে সরকারি স্বাস্থ্য সহায়তার জন্য অপেক্ষারত অবস্থায় সেনারা আত্মহত্যা করেছেন। “মাঝে মাঝে একজন যুদ্ধফেরত সেনার ২৪ ঘণ্টাও অপেক্ষা করার সময় থাকে না,” তিনি যোগ করেন।
এই সপ্তাহের শুরুতে, ‘টাইমস অফ ইসরায়েল’ জানিয়েছিল যে, দক্ষিণ ইসরায়েলে প্রশিক্ষণের সময় একজন সেনা আত্মহত্যার চেষ্টায় গুরুতর আহত হয়েছেন।
এর আগে, ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছিল যে, যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে ২৮ জন সেনা আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন, যা গত ১৩ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ সংখ্যা। এরপরও সেনাদের আত্মহত্যার আরও কয়েকটি ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে, যদিও ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী বছরের শেষ না হওয়া পর্যন্ত কোনো আনুষ্ঠানিক পরিসংখ্যান প্রকাশ করবে না। এই ঘটনাগুলো গাজা যুদ্ধের মানসিক প্রভাব এবং সেনাদের মধ্যে ক্রমবর্ধমান মানসিক স্বাস্থ্য সংকটের গভীরতা তুলে ধরছে।