আগামী ২০ নভেম্বর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৬১তম জন্মদিন। ১৯৬৫ সালের এই দিনে জন্ম নেওয়া এই নেতা আজ শুধু একটি দলের প্রধানই নন, বাংলাদেশের রাজনীতিতে তৃণমূল থেকে কেন্দ্র পর্যন্ত সাংগঠনিক বিপ্লবের প্রতীক।
শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ও দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার জ্যেষ্ঠপুত্র তারেক রহমানের রাজনৈতিক যাত্রা শুরু হয়েছিল মাত্র ২২ বছর বয়সে। ১৯৮৮ সালে বগুড়ার গাবতলী থানা বিএনপির সাধারণ সদস্য হিসেবে যোগ দিয়ে তিনি প্রমাণ করেছিলেন—রাজনীতি তার রক্তে মিশে আছে।
বগুড়াকে তিনি বানিয়েছিলেন বিএনপির ‘ল্যাবরেটরি’। সেখানে গণতান্ত্রিক কমিটি গঠন, অভ্যন্তরীণ নির্বাচন, তৃণমূলের ক্ষমতায়ন—এসবের মাধ্যমে একটি জেলাকে তিনি গোটা দেশের জন্য মডেলে পরিণত করেন। ২০০১ সালের নির্বাচনে চারদলীয় জোট গঠন থেকে শুরু করে বিজয়—তার পেছনে ছিল তারেক রহমানের নেপথ্য কৌশল।
২০০২ সালে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব হিসেবে দায়িত্ব নিয়ে তিনি দলকে সত্যিকারের তৃণমূলভিত্তিক শক্তিতে রূপান্তরিত করেন। যুবদল, ছাত্রদল, কৃষক দল—প্রতিটি অঙ্গসংগঠনকে তিনি নতুন প্রাণ দেন। ২৩ জেলায় লক্ষাধিক ইউনিয়ন প্রতিনিধি সম্মেলনের মধ্য দিয়ে তিনি গ্রামের মানুষের কণ্ঠকে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে পৌঁছে দিয়েছিলেন।
তারেক রহমানের হাত ধরে ছাত্রদল হয়ে উঠেছিল শিক্ষাঙ্গনের সন্ত্রাসমুক্ত শক্তি। ক্যাম্পাসে অস্ত্রের ঝনঝনানি কমে, ফিরে আসে মেধাবীদের আস্থা। তিনি প্রমাণ করেছিলেন—রাজনীতি হতে পারে সেবা, উন্নয়ন আর মানুষের সঙ্গে সরাসরি সংযোগের মাধ্যম।
আজ লন্ডনে থেকেও তারেক রহমান বিএনপির প্রাণশক্তি। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের পর নতুন বাংলাদেশে তার নেতৃত্বে দলটি আবারও জনগণের আস্থা অর্জন করছে। তার দূরদর্শিতা, সাংগঠনিক দক্ষতা আর ত্যাগের রাজনীতি তাকে বানিয়েছে আগামী দিনের বাংলাদেশের অন্যতম কাণ্ডারী।







