বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীসহ আটটি ইসলামী দল আগামী ফেব্রুয়ারির জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আসন সমঝোতার ভিত্তিতে একসঙ্গে লড়ার চূড়ান্ত প্রস্তুতি নিচ্ছে। জোটের দরজা অন্যান্য দলের জন্যও খোলা রয়েছে বলে জানিয়েছেন নেতারা।
বুধবার রাজধানীর পল্টনে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের কার্যালয়ে আট দলের লিয়াজোঁ কমিটির বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ। তিনি বলেন, “আমরা আট দল আসন সমঝোতা করে নির্বাচনে যাব। যারা আমাদের সঙ্গে একমত, তাদের স্বাগত জানাব। এটা একটা খোলা জোট।”
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের পর আওয়ামী লীগহীন রাজনৈতিক ময়দানে ইসলামী দলগুলো এবার বিএনপি ছাড়াই আলাদা শক্তি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে চায়।
জোটে থাকা আট দল:
– বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী
– ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ
– বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস
– খেলাফত মজলিস
– নেজামে ইসলাম পার্টি
– বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন
– বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টি
– জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা)
পাঁচ দফা দাবি:
১. জুলাই সনদকে আইনি ভিত্তি দেওয়া
২. দলগুলোর প্রাপ্ত ভোটের ভিত্তিতে সংসদের উচ্চকক্ষে আসন বণ্টন
৩. জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে আলাদা গণভোট
৪. নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার
৫. সংবিধান সংস্কার
নতুন কর্মসূচি: বিভাগীয় সমাবেশ-
বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের সিনিয়র নায়েবে আমির মাওলানা ইউসুফ আশরাফ ঘোষণা করেন:
– ৩০ নভেম্বর – রংপুর
– ১ ডিসেম্বর – রাজশাহী
– ২ ডিসেম্বর – খুলনা
– ৩ ডিসেম্বর – বরিশাল
– ৪ ডিসেম্বর – ময়মনসিংহ
– ৫ ডিসেম্বর – সিলেট
– ৬ ডিসেম্বর – চট্টগ্রাম
এসব সমাবেশে গণভোটে ‘হ্যাঁ’ ভোটের পক্ষে জোরালো প্রচার চালানো হবে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন খেলাফত মজলিসের মহাসচিব আহমদ আবদুল কাদের, ইসলামী আন্দোলনের যুগ্ম মহাসচিব আশরাফুল আলম, খেলাফত আন্দোলনের মহাসচিব ইউসুফ সাদেক হক্কানী, নেজামে ইসলামের মহাসচিব মুসা বিন ইজহারসহ জোটের শীর্ষ নেতারা।







