নির্বাচনী প্রচারে একে অপরকে ‘কমিউনিস্ট’, ‘ধ্বংসকারী’ বলে গালি দিয়েছেন। দেশ থেকে বিতাড়নের হুমকি দিয়েছেন, বাজেট কেটে নেওয়ার ভয় দেখিয়েছেন। কিন্তু রাজনীতির এই তিক্ততা এখন পেছনে ফেলে নিউইয়র্কের স্বার্থে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং নিউইয়র্কের নবনির্বাচিত মেয়র জোহরান কোয়ামে মামদানি।
রোববার ফ্লোরিডা থেকে ওয়াশিংটনে ফেরার পথে ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন, “নিউইয়র্কের মেয়র আমাদের সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছেন। আমরা একটা সমঝোতায় পৌঁছাবো। নিউইয়র্ক যাতে সঠিকভাবে চলে, সেটাই আমরা চাই।”
হোয়াইট হাউসের প্রেস সচিব ক্যারোলিন লেভিট পরে নিশ্চিত করেন, ট্রাম্প জোহরান মামদানির কথাই বলেছেন। যদিও এখনো বৈঠকের তারিখ চূড়ান্ত হয়নি।
অন্যদিকে মামদানির একজন মুখপাত্র জানান, নতুন মেয়র আগেই ঘোষণা দিয়েছিলেন—নিউইয়র্কের উন্নয়ন ও নিরাপত্তার স্বার্থে হোয়াইট হাউসের সঙ্গে সহযোগিতা করবেন। “শহরের সাফল্য নিশ্চিত করতে এই সম্পর্ক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ,” বলেছিলেন তিনি।
উগান্ডায় জন্ম নেওয়া ৩৪ বছর বয়সী জোহরান মামদানি নিউইয়র্কের প্রথম মুসলিম এবং সর্বকনিষ্ঠ মেয়র। এক বছর আগেও কুইন্সের একজন সাধারণ সিটি কাউন্সিল সদস্য ছিলেন। কিন্তু জনবান্ধব প্রতিশ্রুতি আর ট্রাম্প-বিরোধী স্পষ্ট অবস্থান তাকে রাতারাতি নিউইয়র্কবাসীর ‘চোখের মণি’ বানিয়ে দেয়। ট্রাম্পের প্রিয় প্রার্থী অ্যান্ড্রু কুওমোকেও হারিয়ে বিপুল ভোটে জয়ী হন তিনি।
জয়ের পর মামদানি বলেছিলেন, “আমরা বিশ্বকে দেখিয়েছি—ট্রাম্পকে কীভাবে হারাতে হয়। নিউইয়র্ককে ট্রাম্প থেকে সুরক্ষিত রাখব।” কিন্তু এখন তিনি সেই ট্রাম্পের সঙ্গেই হাত মেলাতে প্রস্তুত।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, আমেরিকার প্রশাসনিক ব্যবস্থায় ফেডারেল সরকার আর নিউইয়র্কের মতো বড় শহরের মধ্যে সহযোগিতা ছাড়া কোনো পক্ষই চলতে পারে না। তাই ব্যক্তিগত বিরোধ ভুলে দুজনেই বাস্তবতার কাছে মাথা নত করেছেন।







