বাংলাদেশ সরকার ইসলামি বন্ড বা ‘সুকুক’ ছেড়ে আরও আড়াই হাজার কোটি টাকা উত্তোলন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই অর্থ দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের তিন জেলা নোয়াখালী, ফেনী ও লক্ষ্মীপুরের গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়নে ব্যয় করা হবে। ব্যাংক, বিমা, করপোরেট প্রতিষ্ঠানসহ ব্যক্তিগত বিনিয়োগকারীরা এই সুকুকে বিনিয়োগ করতে পারবেন। মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
সুকুক ইস্যুর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত
- সভার সিদ্ধান্ত: গতকাল সোমবার (৪ নভেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের শরিয়াহ অ্যাডভাইজরি কমিটির সভায় এই সুকুক ইস্যুর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর ও শরিয়াহ অ্যাডভাইজরি কমিটির সভাপতি কবির আহাম্মদ।
- পণ্যের নাম ও মেয়াদ: নোয়াখালী, ফেনী ও লক্ষ্মীপুর জেলার ২০টি উপজেলার পল্লি অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের বিপরীতে ৭ বছর মেয়াদি এই সুকুক ইস্যুর সিদ্ধান্ত হয়েছে। সুকুকটির নাম হবে ‘আইআরআইডিপিএনএফএল সোসিও-ইকোনমিক ডেভেলপমেন্ট সুকুক’ এবং এটি ইজারা পদ্ধতিতে ইস্যু করা হবে।
অর্থ ব্যয়ের খাত ও প্রত্যাশিত সুবিধা
এই সুকুক থেকে প্রাপ্ত অর্থ দিয়ে তিন জেলার ২০টি উপজেলায় নিম্নলিখিত অবকাঠামো উন্নয়ন কাজগুলো করা হবে:
- সড়ক উন্নয়ন, প্রশস্তকরণ, পুনর্বাসন ও ঢাল রক্ষাকরণ কাজ।
- হাটবাজার এবং পর্যটন এলাকার অবকাঠামো উন্নয়ন।
প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে এলাকার কৃষি ও অকৃষি অর্থনীতির গতিশীলতা বৃদ্ধি পাবে। একইসঙ্গে গ্রামীণ জনগণের জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন, নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং পরিবহন খরচ ও সময় হ্রাস পাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, ডিসেম্বর ২০২৫ সালের মধ্যেই এই সুকুক ইস্যু করার পরিকল্পনা রয়েছে।
- পূর্বের ইস্যু: এর আগে বাংলাদেশ ব্যাংক স্পেশাল পারপাস ভেহিকেলের মাধ্যমে মোট ২৪ হাজার কোটি টাকার ৬টি সুকুক ইস্যু করেছে।
-
বর্তমান অবস্থান: নতুন এই সুকুকটি হবে সরকারের সপ্তম সুকুক ইস্যু।







