অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহেই জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যাপারে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। সরকারের সেই লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে এবং এ বিষয়ে যত সংশয় ছিল, তা ‘ধুয়ে-মুছে কেটে গেছে’ বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। তিনি দৃঢ়ভাবে জানান, বাংলাদেশ এখন নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত।
শুক্রবার (১০ অক্টোবর) বিকালে ময়মনসিংহ প্রেস ক্লাবে সাংবাদিকদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতকালে তিনি এসব কথা বলেন।
১৫ অক্টোবর ‘জুলাই সনদ’ স্বাক্ষরের সম্ভাবনা
নির্বাচন কেন্দ্রিক রাজনৈতিক সমঝোতা প্রসঙ্গে প্রেস সচিব বলেন, রাজনৈতিক দলগুলো ‘জুলাই সনদ’ নিয়ে আলোচনা করেছে এবং সব দলই এতে একমত হয়েছে। খুব দ্রুত রাজনৈতিক দলগুলো বসে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে।
তিনি জানান, আগামী ১৫ অক্টোবর জুলাই সনদ সই করার একটি ঘোষণা এসেছে। সনদ সই হওয়ার পর দেশের সব রাজনৈতিক দল নির্বাচনের জন্য পুরোদমে প্রস্তুতি নেবে। ইতোমধ্যে কয়েকটি দল মনোনয়ন ঘোষণা করেছে, যা প্রমাণ করে বাংলাদেশ সুস্থধারার রাজনীতির মাধ্যমে এক নবযাত্রা শুরু করবে।
অতীতের ‘ফেইক’ নির্বাচন, এবার হবে ‘ফ্রি এবং ফেয়ার’
পূর্বের নির্বাচনগুলোর সমালোচনা করে শফিকুল আলম বলেন, অতীতের নির্বাচনগুলো ছিল ‘ফেইক নির্বাচন’। তবে অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে এবার যে নির্বাচন হবে, তা হবে ‘ফ্রি এবং ফেয়ার নির্বাচন’।
তিনি জোর দিয়ে বলেন, “বাংলাদেশে যতগুলো নির্বাচন হয়েছে, এটা হবে বেস্ট নির্বাচন।” সরকার একটি অবাধ, নিরপেক্ষ ও সর্বজনীনভাবে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন উপহার দিতে বদ্ধপরিকর।
