সহজ লক্ষ্যকে কঠিন করে শেষ পর্যন্ত জয় ছিনিয়ে আনলো বাংলাদেশ। শারজায় সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে আফগানিস্তানকে ৪ উইকেটে পরাজিত করে তিন ম্যাচ সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল টাইগাররা। জয়ের জন্য ১৫২ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে একপর্যায়ে ১০৯ রানে কোনো উইকেট না হারিয়ে উড়ন্ত সূচনা করলেও মাত্র ৯ রানের ব্যবধানে ৬ উইকেট হারিয়ে চরম বিপর্যয়ে পড়েছিল জাকের আলীর দল।
বাংলাদেশের ইনিংসে নাটকীয় পতন
রান তাড়ার শুরুতে বাংলাদেশের দুই ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম ও পারভেজ হোসেন ইমনের ব্যাট থেকে আসে ঝড়ো সূচনা। এই জুটি পাওয়ার প্লেতেই ৫০ রান পার করে দেয় এবং ১১ ওভারের মধ্যেই স্কোরবোর্ডে ১০৯ রান যোগ করে। ইমনের বিদায়ে এই জুটি ভাঙে। তিনি ৩৭ বলে ৪ বাউন্ডারি ও ৩ ছক্কায় ৫৪ রান করে আউট হন। তামিমও সমান ৩৭ বলে ৩টি করে চার ও ছক্কায় ৫১ রান করে ফেরেন।
এরপরই নামে সেই বিপর্যয়। স্পিনার রশিদ খানের এক ওভারেই জোড়া আঘাতসহ পরের দুই ওভারে আফগানিস্তান ম্যাচে ফেরে। ১০৯/০ থেকে মুহূর্তেই বাংলাদেশের স্কোর দাঁড়ায় ১১৮/৬! সাইফ হাসান (০), জাকের আলী (৬), শামীম পাটোয়ারী (০) এবং তানজিম হাসান সাকিব (০) দ্রুত প্যাভিলিয়নে ফেরেন। তবে শেষদিকে রিশাদ হোসেন (৯ বলে ১৪) এবং অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহানের (১৩ বলে ১ চার, ২ ছক্কায় অপরাজিত ২৩) দৃঢ়তায় ৮ বল হাতে রেখেই জয় নিশ্চিত করে বাংলাদেশ।
আফগানিস্তানের ইনিংস ও সেরা বোলার
টস জিতে ব্যাট করতে নেমে আফগানিস্তান নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৫১ রান সংগ্রহ করে। শুরুতেই উইকেট হারালেও রহমানুল্লাহ গুরবাজ (৩১ বলে ৪০) এবং মোহাম্মদ নবী (২৫ বলে ৩৮) লড়াকু পুঁজি এনে দেন। নবি, তাসকিন আহমেদের এক ওভারেই তিনটি ছক্কা হাঁকিয়েছিলেন। বাংলাদেশের পক্ষে তানজিম হাসান সাকিব ও রিশাদ হোসেন উভয়েই দুটি করে উইকেট শিকার করেন।
তবে এই ম্যাচের প্রধান আকর্ষণ ছিলেন আফগানিস্তানের লেগ-স্পিনার রশিদ খান, যিনি ৪ ওভার বল করে মাত্র ১৮ রান খরচায় একাই ৪টি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট তুলে নিয়েছিলেন।