জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, তার দল ফেব্রুয়ারি মাসেই জাতীয় নির্বাচন চায়, তবে তার আগে কয়েকটি শর্ত পূরণ করতে হবে। এই শর্তগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘জুলাই সনদের’ আইনি ভিত্তি দেওয়া এবং ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও তাদের সহযোগী দলগুলোর রাজনীতি নিষিদ্ধ করা।
শুক্রবার বিকেলে রংপুরের পাবলিক লাইব্রেরি মাঠে ‘জুলাই সনদের’ ভিত্তিতে ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনসহ ৫ দফা দাবিতে আয়োজিত এক সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিলে তিনি এসব কথা বলেন।
নির্বাচন ও পাঁচ দফা শর্ত
অনেকের ধারণার বিপরীতে জামায়াত যে দ্রুত নির্বাচন চায়, তা উল্লেখ করে মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘আমরা পরিষ্কার ঘোষণা করছি, ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন চাই।’ তবে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার জন্য তারা বেশ কিছু শর্ত দিয়েছেন, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য:
- জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি প্রদান: নির্বাচনকে একটি বৈধ কাঠামোতে আনতে এই সনদের ওপর আইন তৈরি করতে হবে।
- প্রয়োজনীয় সংস্কার: সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক সংস্কার সাধন করতে হবে।
- ফ্যাসিস্টদের বিচার: রাজনৈতিক অঙ্গনে থাকা ‘ফ্যাসিস্ট’দের বিচার নিশ্চিত করতে হবে।
- লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড: সব দলের জন্য সমান সুযোগ তৈরি করতে হবে।
- আওয়ামী লীগ ও ১৪ দলের রাজনীতি নিষিদ্ধকরণ: আওয়ামী লীগ এবং তাদের সহযোগী ১৪ দলের রাজনীতি নিষিদ্ধ করা হলে তারা নির্বাচনে যাবেন।
ড. ইউনূস ও নির্বাচন কমিশনের সমালোচনা
সমাবেশে জামায়াত সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, ‘ড. ইউনূস দেশে সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা না করে লন্ডনে বসে নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছেন।’ তিনি আরও বলেন, ড. ইউনূস লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড রক্ষা করতে পারেননি।
প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘পিআর (আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব) পদ্ধতি সংবিধানে নেই’—এ কথা বলার কোনো এখতিয়ার তার নেই।
রংপুর মহানগর জামায়াতের সেক্রেটারি এটিএম আযম খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় নেতা মাহবুবার রহমান বেলাল এবং জেলা জামায়াতের আমির গোলাম রব্বানী।
সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল পাবলিক লাইব্রেরি থেকে শুরু হয়ে নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে শাপলা চত্বরে গিয়ে শেষ হয়।