বাণিজ্য ঘাটতি ও পূর্ববর্তী শুল্কারোপ
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গত ২ এপ্রিল বাণিজ্য ঘাটতির কারণ দেখিয়ে বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের পণ্যের ওপর উচ্চ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছিলেন। সেই সময় বাংলাদেশের পণ্যের ওপর ৩৫ শতাংশ শুল্ক কার্যকর হয়েছিল। এর আগে বাংলাদেশের মার্কিন পণ্যের ওপর ৭৪ শতাংশ শুল্ক থাকায় যুক্তরাষ্ট্র reciprocally ৩৭ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছিল।
তবে, মার্কিন প্রশাসন পরবর্তীতে এই শুল্কগুলো তিন মাসের জন্য স্থগিত করেছিল, যাতে সংশ্লিষ্ট দেশগুলো আলোচনায় বসতে পারে। তারই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ থেকে একটি প্রতিনিধি দল বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছে, যার নেতৃত্ব দিচ্ছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দিন। এই প্রতিনিধি দলটি মার্কিন বাণিজ্য প্রতিনিধির (ইউএসটিআর) সঙ্গে শুল্ক কমানোর বিষয়ে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে।
চলমান আলোচনার ফলশ্রুতি
যদিও সম্পূর্ণ শুল্ক মওকুফ হয়নি, তবে ৩৫ শতাংশ থেকে ২০ শতাংশে নেমে আসা বাংলাদেশের রপ্তানি খাতের জন্য একটি স্বস্তির খবর। এটি উভয় দেশের মধ্যে বাণিজ্য সম্পর্ক উন্নয়নে একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে। এই আলোচনার মাধ্যমে ভবিষ্যতে আরও শুল্ক হ্রাসের সম্ভাবনা তৈরি হতে পারে বলে মনে করছেন বাণিজ্য বিশ্লেষকরা।