থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার মধ্যে গত কয়েক বছরের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ সীমান্ত সংঘাত দ্বিতীয় দিনে গড়িয়েছে, যেখানে উভয় পক্ষেই গোলাগুলি অব্যাহত রয়েছে। এই সহিংসতায় এ পর্যন্ত কমপক্ষে ১৫ জন নিহত হয়েছেন, যাদের অধিকাংশই বেসামরিক নাগরিক। পরিস্থিতি সামাল দিতে থাইল্যান্ড তাদের কম্বোডিয়া সীমান্তবর্তী আটটি জেলায় মার্শাল ল’ জারি করেছে।
যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব নিয়ে মতানৈক্য
কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন মানেত জানিয়েছেন, তিনি আঞ্চলিক একটি যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবকে সমর্থন করেছিলেন, কিন্তু থাইল্যান্ড প্রাথমিকভাবে সেই পরিকল্পনা থেকে সমর্থন প্রত্যাহার করে নিয়েছে। অন্যদিকে, থাইল্যান্ড দাবি করেছে যে তারা প্রস্তাবটির সাথে “নীতিগতভাবে” একমত এবং এটি বিবেচনা করবে। এই মতানৈক্য সংঘাত নিরসনে জটিলতা সৃষ্টি করেছে।
সীমান্ত এলাকায় হাজার হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত
সীমান্তে চলমান তীব্র লড়াইয়ের কারণে থাই-কম্বোডিয়ান সীমান্তের উভয় পাশ থেকে হাজার হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। স্থানীয় বাসিন্দারা নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে বাড়িঘর ছেড়ে যাচ্ছেন, যা এক ব্যাপক মানবিক সংকট তৈরি করেছে। এই সংঘাত দ্রুত নিরসন না হলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
সূত্র- আলজাজিরা