গাজায় দুর্ভিক্ষের ভয়াবহতা: ইসরায়েলি হামলায় নিহত ৬৩, অনাহারে ১৫ জনের মৃত্যু

ইসরায়েলের অব্যাহত অবরোধের মুখে গাজা উপত্যকায় দুর্ভিক্ষের ভয়াবহতা বাড়ছে। সেখানকার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ফ্যামিন ও অপুষ্টিজনিত কারণে অন্তত ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে, যার মধ্যে চারজন শিশু। পরিস্থিতি এতটাই ভয়াবহ যে, জাতিসংঘের ত্রাণ ও কর্মসংস্থান সংস্থা (UNRWA)-এর প্রধান ফিলিপ লাজারিনি বলেছেন, গাজার চিকিৎসক, নার্স এবং অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মীরা “ক্ষুধা ও ক্লান্তিতে জ্ঞান হারাচ্ছেন।”

ইসরায়েলি হামলায় আরও ৬৩ ফিলিস্তিনি নিহত:

মঙ্গলবার ভোর থেকে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় গাজায় অন্তত ৬৩ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যার মধ্যে ২৬ জন ত্রাণপ্রার্থী ছিলেন। এর একদিন আগেই ইসরায়েলি ট্যাংক প্রথমবারের মতো দির আল-বালাহ-এর দক্ষিণ ও পূর্বাঞ্চলে প্রবেশ করে। এসব হামলা চলমান সংঘাতের ভয়াবহতাকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে।

যুদ্ধবিরতির দাবিতে আন্তর্জাতিক চাপ:

২৫টি দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের একজন কমিশনার গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন। তারা বলেছেন, গাজার মানুষের দুর্ভোগ “নতুন গভীরতায় পৌঁছেছে।” আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় যুদ্ধবিরতির জন্য ইসরায়েলের ওপর চাপ সৃষ্টি করছে, কারণ মানবিক সংকট এখন চরম আকার ধারণ করেছে।

গাজায় হতাহতের সর্বশেষ পরিসংখ্যান:

অক্টোবর ৭, ২০২৩ থেকে শুরু হওয়া ইসরায়েলের হামলায় গাজায় কমপক্ষে ৫৯,১০৬ জন নিহত এবং ১,৪২,৫১১ জন আহত হয়েছেন। অন্যদিকে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরের হামলায় ইসরায়েলে আনুমানিক ১,১৩৯ জন নিহত হন এবং ২০০ জনের বেশি ব্যক্তিকে জিম্মি করা হয়েছিল।

এই চলমান সংঘাত গাজার মানুষের জীবনকে দুর্বিষহ করে তুলেছে এবং বিশ্বজুড়ে মানবিক সহায়তার প্রয়োজনীয়তা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top