গোপালগঞ্জে তৃতীয় দিনের মতো কারফিউ চলছে। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে শুক্রবার বেলা ১১টা পর্যন্ত প্রথম দফার কারফিউ শেষ হওয়ার পর তিন ঘণ্টা বিরতি দিয়ে দুপুর ২টা থেকে পুনরায় অনির্দিষ্টকালের জন্য কারফিউ জারি করা হয়েছে।
শুক্রবার সকালে শহরের রাস্তাঘাটে স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক কম মানুষের চলাচল দেখা গেছে। অধিকাংশ দোকানপাট বন্ধ থাকলেও জীবিকার তাগিদে কিছু দিনমজুর ও ভ্যানচালক রাস্তায় বের হয়েছেন। কাঁচাবাজার ও পাইকারি দোকানগুলোতে কিছুটা ভিড় লক্ষ্য করা গেলেও প্রধান সড়কগুলোতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তেমন উপস্থিতি চোখে পড়েনি।
গত বুধবার জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) পদযাত্রাকে কেন্দ্র করে গোপালগঞ্জে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষ ও হামলার ঘটনায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে প্রশাসন কারফিউ জারি করে। এ পর্যন্ত যৌথ বাহিনী অন্তত ২৫ জনকে আটক করেছে বলে জানা গেছে।
পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে বৃহস্পতিবার গোপালগঞ্জে আসেন ঢাকা বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার শরফ উদ্দিন আহমেদ এবং ঢাকা রেঞ্জের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) রেজাউল করিম মল্লিক। এছাড়া গোপালগঞ্জ জেলা কারাগারে হামলার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করতে অতিরিক্ত কারা মহাপরিদর্শক মো. তানভীর হোসেনও জেলায় এসেছিলেন।
প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পরিস্থিতি শান্ত হলে ধাপে ধাপে কারফিউ শিথিল করা হবে। তবে বর্তমানে শহরে উত্তেজনা রয়ে গেছে এবং নিরাপত্তা বাহিনী কঠোর নজরদারি চালিয়ে যাচ্ছে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, খাদ্য ও জরুরি চিকিৎসা সেবা নিতে তাদের সমস্যার মুখোমুখি হতে হচ্ছে।
এদিকে এনসিপি নেতৃত্বের পক্ষ থেকে আহত ও নিহতদের পরিবারকে সহায়তা দেওয়ার পাশাপাশি দোষীদের দ্রুত বিচারের দাবি জানানো হয়েছে। প্রশাসন জানিয়েছে, ঘটনায় জড়িত সকলকে আইনের আওতায় আনা হবে।