ইসরায়েলি বাহিনীর আগ্রাসন অব্যাহত রয়েছে গাজা উপত্যকায়, যেখানে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও কমপক্ষে ৯৩ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে অনেকেই ত্রাণ সহায়তা খুঁজছিলেন বলে জানা গেছে। একই সময়ে, ইসরায়েল সিরিয়াতেও বিমান হামলা চালিয়েছে, লক্ষ্যবস্তু ছিল দামেস্কের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রেসিডেন্ট প্রাসাদের কাছাকাছি এলাকা। এই হামলায় অন্তত তিনজন নিহত এবং কয়েক ডজন মানুষ আহত হয়েছেন।
আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া ও কূটনৈতিক তৎপরতা:
ইসরায়েলের এই ক্রমবর্ধমান আগ্রাসনের তীব্র নিন্দা ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়। কলম্বিয়ার বোগোটাতে অনুষ্ঠিত ৩২টি দেশের এক বৈঠকে, যার অধিকাংশই গ্লোবাল সাউথের দেশ, ইসরায়েলের কর্মকাণ্ড বন্ধে সমন্বিত পদক্ষেপ নেওয়ার অঙ্গীকার করা হয়েছে। এই পদক্ষেপগুলোর মধ্যে অস্ত্র সরবরাহ বন্ধের প্রচেষ্টা বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।
এদিকে, ইসরায়েলের সিরিয়ায় হামলার বিষয়ে আলোচনার জন্য জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ একটি জরুরি অধিবেশন আহ্বান করেছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গাজার যুদ্ধবিরতি আলোচনার বিষয়ে ‘ভালো খবর’-এর ইঙ্গিত দিয়েছেন, যা কিছুটা আশার সঞ্চার করেছে।
গাজায় হতাহতের ভয়াবহ চিত্র:
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ইসরায়েলের হামলায় এ পর্যন্ত ৫৮,৩৮০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এই ব্যাপক প্রাণহানি গাজায় এক ভয়াবহ মানবিক সংকট তৈরি করেছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, সিরিয়ায় ইসরায়েলের হামলার উদ্দেশ্য হতে পারে আঞ্চলিক আধিপত্য বিস্তার এবং নতুন সিরীয় নেতৃত্ব ও দ্রুজ সংখ্যালঘুদের প্রতি বার্তা পাঠানো। চলমান এই সংঘাত মধ্যপ্রাচ্যে অস্থিরতা আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে।
সূত্র- আলজাজিরা