বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল, কিন্তু গুরুতর ইনফেকশনের কারণে উন্নত অ্যান্টিবায়োটিক ও অ্যান্টিফাঙ্গাল চিকিৎসা চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে। গত কয়েক দিনের পরীক্ষায় ফুসফুসে সংক্রমণ ছড়িয়ে হৃদয় ও অন্যান্য অঙ্গে জটিলতা দেখা দিয়েছে। শ্বাসকষ্ট বেড়ে অক্সিজেনের মাত্রা কমে যাওয়ায় অঙ্গগুলোকে বিশ্রাম দেওয়ার জন্য ইলেকটিভ ভেন্টিলেটর সাপোর্ট দেওয়া হয়েছে। কিডনির কার্যক্ষমতা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ডায়ালাইসিস চালু রয়েছে।
বৃহস্পতিবার মেডিকেল বোর্ডের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, “ধীরে ধীরে উন্নতির লক্ষণ দেখা যাচ্ছে। চিকিৎসকরা নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন।” দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞরা—যেমন যুক্তরাজ্যের ডা. রিচার্ড বিল, চীনের ১০ সদস্যের দল, লন্ডন ক্লিনিকের টিম—সমন্বয়ে চিকিৎসা দিচ্ছে। খালেদা জিয়া ডাকলে সাড়া দিচ্ছেন, কিন্তু এখনো আশানুরূপ উন্নতি হয়নি। বিদেশে নেওয়ার সিদ্ধান্ত মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শে নেওয়া হবে।
২৩ নভেম্বর থেকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি খালেদা জিয়া। ২৭ নভেম্বর থেকে সিসিইউতে। ৮০ বছর বয়সী তাঁর দীর্ঘদিনের হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, লিভার সিরোসিস, কিডনি জটিলতা এবং নতুন ইনফেকশনের কারণে অবস্থা সংকটাপন্ন। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, “দেশবাসীদের দোয়া চাই।”







