মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে দেওয়া বাণীতে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, “জুলাই গণ-অভ্যুত্থান জনের মাধ্যমে জনগণ স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়ে নিজেদের অধিকার ও মর্যাদা পুনরুদ্ধার করেছে। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রায়ে দোষীদের শাস্তি ন্যায়বিচারের প্রতি আমাদের অঙ্গীকারকে আরও সুদৃঢ় করেছে।”
তিনি বলেন, “চব্বিশের জুলাইয়ে তরুণদের নেতৃত্বে এই ঐতিহাসিক অভ্যুত্থান ফ্যাসিবাদী শাসনকে পরাজিত করে ‘নতুন বাংলাদেশ’-এর জন্ম দিয়েছে। ২০২৬-এর ফেব্রুয়ারিতে অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের মাধ্যমে আমরা গণতন্ত্রকে আরও শক্তিশালী করব।”
প্রধান উপদেষ্টা রোহিঙ্গা সংকটের কথা উল্লেখ করে বলেন, “আট বছর পেরিয়ে গেলেও মিয়ানমার একজন রোহিঙ্গাকেও ফিরিয়ে নেয়নি। দ্রুত, নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসনের জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সোচ্চার হওয়া দরকার।”
গাজার মানবাধিকার লঙ্ঘনের নিন্দা করে তিনি বলেন, “ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা সংগ্রামে আমরা সবসময় পাশে আছি।”
বাংলাদেশ জাতিসংঘের নয়টি মূল মানবাধিকার চুক্তিতে সই করেছে উল্লেখ করে ড. ইউনূস বলেন, “আমরা বিশ্বব্যাপী মানবাধিকার রক্ষায় সক্রিয় ভূমিকা পালন করে যাব।”







