বিএনপির দ্বিতীয় দফায় ৩৬ প্রার্থী ঘোষণাসহ মোট ২৭২ আসনে নিজের লোক, শরিকদের জন্য ফাঁকা রইল ২৮টি

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপি প্রথম ও দ্বিতীয় দফায় মোট ২৭২টি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছে। ৩০০ আসনের মধ্যে বাকি ২৮টি আসন জোটশরিক দলগুলোর জন্য ফাঁকা রেখেছে দলটি। এই ঘোষণা জোটের আসন বণ্টন নিয়ে নতুন আলোচনার সূচনা করেছে।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সংবাদ সম্মেলনে বলেন, “যুগপৎ আন্দোলনে যারা আমাদের সঙ্গে ছিলেন, তাদের আগ্রহী আসনগুলোতে আমরা প্রার্থী দিইনি। আশা করছি, তারা তাদের নাম ঘোষণা করবে। তখন আমরা চূড়ান্ত করব। ঘোষিত আসনগুলোতে পরিবর্তনের সম্ভাবনা খুবই কম।”

প্রথম ও দ্বিতীয় দফায় প্রার্থী ঘোষণা-
প্রথম দফায় ২৩৭টি আসনে প্রার্থী ঘোষণার পর মাদারীপুর-১ আসনে পরিবর্তন করে নতুন প্রার্থী দেওয়া হয়েছে। দ্বিতীয় দফায় ফাঁকা ৩৬টি আসনের মধ্যে ৩৬টিতে প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে। এর মধ্যে ঢাকা-১৩ ও ঢাকা-১৭ ফাঁকা রাখা হয়েছে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, “২৮টি আসন জোটশরিকদের জন্য ফাঁকা। আলোচনা করে সমঝোতার মাধ্যমে বণ্টন করা হবে। বাকিগুলোতে বিএনপি নিজস্ব প্রার্থী দেবে।”

উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন ও নতুন মুখ-
– ঢাকা-৭: মামুনুল হকের পরিবর্তে বিএনপির নিজস্ব প্রার্থী।
– হবিগঞ্জ-১: রেজা কিবরিয়া (সদ্য যোগদানকারী)।
– ঢাকা-১০: আসিফ মাহমুদ সজীবের আলোচনা সত্ত্বেও বিএনপির প্রার্থী।

জোটশরিকদের সম্ভাব্য আসন-
– ববি হাজ্জাজ (এনডিএম): ঢাকা-১৩।
– আন্দালিব রহমান পার্থ (বিজেপি): ঢাকা-১৭।
– জোনায়েদ সাকি (গণসংহতি): ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬।
– মাহমুদুর রহমান মান্না (নাগরিক ঐক্য): বগুড়া-২।
– অলি আহমদের ছেলে ওমর ফারুক (এলডিপি): চট্টগ্রাম-১৪।
– নুরুল হক নুর ও রাশেদ খান (গণঅধিকার): পটুয়াখালী-৩, ঝিনাইদহ-২।
– মোস্তফা জামাল হায়দার (জাতীয় পার্টি): পিরোজপুর-১।
– সাহাদাত হোসেন সেলিম (এলডিপি): লক্ষ্মীপুর-১।

পটভূমি-
জুলাই অভ্যুত্থানের পর বিএনপি যুগপৎ আন্দোলনকারী দলগুলোর সঙ্গে জোট গঠনে আলোচনায়। আওয়ামী লীগহীন এই জোট নির্বাচনী রাজনীতিতে নতুন সমীকরণ তৈরি করতে পারে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top