জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালের মৃত্যুদণ্ডের রায়ের স্বচ্ছতা নিয়ে বিশ্বের সামনে খোলা চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।
সোমবার রায় ঘোষণার পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, “আমরা উপস্থাপিত সাক্ষ্য-প্রমাণের মান নিয়ে গর্ব করি। এই এভিডেন্সগুলো বিশ্বের যেকোনো আদালতের স্ট্যান্ডার্ডে উতরে যাবে। পৃথিবীর যে কোনো প্রান্তে এই সাক্ষ্য নিয়ে গেলে আজ যে শাস্তি হয়েছে, একই শাস্তি হবে—এটা আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস।”
তিনি আরও বলেন, “এই বিচার পুরোপুরি স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষভাবে হয়েছে। রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী থেকে শুরু করে প্রতিটি পক্ষ সুযোগ পেয়েছে। কোথাও কোনো অভিযোগ ওঠেনি। অনেক শুনানি লাইভ সম্প্রচার করা হয়েছে। বিশ্ববাসী সাক্ষী। আমরা খোলাখুলি চ্যালেঞ্জ করছি—কোনো ত্রুটি থাকলে দেখান!”
রায়ে শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খানের বাংলাদেশে থাকা সব সম্পদ বাজেয়াপ্ত করে রাষ্ট্রের অনুকূলে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। চিফ প্রসিকিউটর জানান, এই অর্থ থেকে শহীদ ও আহত পরিবারগুলোকে যথাযথ ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।
অন্যান্য মামলায় এই রায় নজির হবে কিনা—এমন প্রশ্নে তাজুল ইসলাম বলেন, “উচ্চ পর্যায়ের কমান্ড দায়িত্ব প্রমাণিত হওয়ায় এটি অবশ্যই পরবর্তী স্তরের আসামিদের বিচারে সহায়ক হবে। তবে প্রতিটি মামলা ও আসামির বিচার স্বতন্ত্রভাবে হবে। প্রত্যেককে তার নির্দোষিতা প্রমাণের পূর্ণ সুযোগ দেওয়া হবে।”







