ভোক্তাদের কাছে দ্রব্যমূল্যের অসহনীয় চাপ কমাতে প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প শুক্রবার নির্বাহী আদেশে সই করেছেন। এর ফলে গরুর মাংস, কলা, টমেটো, কফিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় কয়েকটি খাদ্যপণ্যের ওপর আরোপিত শুল্ক তাৎক্ষণিকভাবে প্রত্যাহার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকেই এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়েছে।
চলতি মাসের নির্বাচনে অর্থনীতি ও মূল্যস্ফীতি নিয়ে ভোটারদের ব্যাপক অসন্তোষ প্রকাশ পাওয়ার পর ট্রাম্প প্রশাসন এই পদক্ষেপ নিল। নিউ ইয়র্ক সিটি মেয়র নির্বাচনসহ ভার্জিনিয়া ও নিউ জার্সির গভর্নর পদে ডেমোক্র্যাটদের জয়কে অনেকে মূল্যস্ফীতির বিরুদ্ধে জনরোষের প্রতিফলন বলে মনে করছেন।
রয়টার্স জানায়, লাতিন আমেরিকার দেশ আর্জেন্টিনা, ইকুয়েডর, গুয়াতেমালা ও এল সালভাদর থেকে আমদানি করা খাদ্যপণ্যের ওপর থেকে শুল্ক তুলে নেওয়া হয়েছে। চলতি বছরের মধ্যে আরও কয়েকটি দেশের সঙ্গে অনুরূপ কাঠামোগত বাণিজ্য চুক্তি সম্পন্ন করার পরিকল্পনা রয়েছে।
গত কয়েক মাসে গরুর মাংসের দাম রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছেছে। সেপ্টেম্বরের তথ্য অনুযায়ী, কিমা করা মাংসের দাম বছরের ব্যবধানে ১৩ শতাংশ এবং স্টেকের দাম প্রায় ১৭ শতাংশ বেড়েছে—যা তিন বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। কলার দাম বেড়েছে ৭ শতাংশ, টমেটো প্রায় ১ শতাংশ। সার্বিকভাবে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্যের দাম বেড়েছে ২.৭ শতাংশ।
ট্রাম্প প্রশাসন দীর্ঘদিন ধরে দাবি করে আসছে যে শুল্ক ভোক্তাদের ওপর প্রভাব ফেলে না। কিন্তু বাস্তবে ব্রাজিলসহ বিভিন্ন দেশের ওপর আরোপিত উচ্চ শুল্কের কারণে আমদানি খরচ বেড়ে ভোক্তাদের পকেটে চাপ পড়েছে। এবারের শুল্কছাড়কে অনেকে সেই অবস্থান থেকে সরে আসার ইঙ্গিত হিসেবে দেখছেন।







