জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন আদেশে ব্যাপক অস্পষ্টতা রয়েছে উল্লেখ করে সরকারের কাছে তাৎক্ষণিক স্পষ্টীকরণ দাবি করেছে। দলটির অভিযোগ, আদেশটি এমনভাবে লেখা হয়েছে যে ক্ষমতাসীনরা নিজেদের সুবিধামতো ব্যাখ্যা করে সংস্কারকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারবে।
শুক্রবার বাংলামোটরে সংবাদ সম্মেলনে এনসিপির সদস্য সচিব আখতার হোসেন বলেন, “গণভোটের প্রশ্নগুলোকে এমনভাবে প্যাকেজ করা হয়েছে যে গুরুত্বপূর্ণ সংস্কারগুলো রাজনৈতিক দলের ইচ্ছার ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার, সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান গঠন, দুদককে সাংবিধানিক করা, উচ্চকক্ষে নারী কোটা, প্রধানমন্ত্রীর একাধিক পদে থাকার বিষয়—এসব ক্ষেত্রে স্পষ্টতার অভাব রয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, ১৮০ দিনের মধ্যে সংস্কার না হলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে সংবিধানে অন্তর্ভুক্তির কোনো বাধ্যবাধকতা রাখা হয়নি। ফলে ‘নোট অব ডিসেন্ট’ দিয়ে ক্ষমতায় গেলে যে কেউ সনদের মূল চেতনাকে বদলে দিতে পারবে।
এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটোয়ারী বলেন, “এই আদেশ জনগণকে ফাঁকি দিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোকে খুশি করার চেষ্টা। মৌলিক সংস্কারের পরিবর্তে আমরা আবার ’৭২-এর ফ্যাসিবাদী কাঠামোর দিকেই যাচ্ছি। এক হাসিনা চলে গেলেও আরেক হাসিনা আসার পথ খোলা রাখা হয়েছে।”
তিনি হুশিয়ারি দেন, অস্পষ্টতা না সরালে এনসিপি জুলাই সনদে স্বাক্ষর করবে না।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ডা. তাসনিম জারা, আব্দুল হান্নান মাসউদ, মনিরা শারমিন প্রমুখ।







