রয়টার্স-ইপসোসের নতুন জরিপে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদের সর্বনিম্ন জনপ্রিয়তা ধরা পড়েছে। সমর্থন ৪০% অপরিবর্তিত থাকলেও অসন্তোষ মে মাসের ৫২% থেকে বেড়ে ৫৮%-এ উঠেছে।
জরিপে দেখা গেছে, ২০২৬ মিডটার্ম নির্বাচনে ডেমোক্র্যাট ভোটাররা রিপাবলিকানদের চেয়ে বেশি উৎসাহী (৪৪% বনাম ২৬%)। নভেম্বরের অফ-ইয়ার নির্বাচনে ভার্জিনিয়া, নিউ জার্সি গভর্নরশিপ এবং নিউ ইয়র্ক মেয়র পদে জোহরান মামদানির জয় ডেমোক্র্যাটদের উজ্জীবিত করেছে। ক্যালিফোর্নিয়ায় ডেমোক্র্যাটপন্থী রিডিস্ট্রিক্টিং পাস হয়েছে।
আগামী বছর ৪৩৫ আসনের প্রতিনিধি পরিষদ এবং ১০০ সদস্যের সিনেটের ৩৫টি আসনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। বর্তমানে উভয় কক্ষই রিপাবলিকানদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। গত ৪ নভেম্বরের অফ-ইয়ার নির্বাচনে ডেমোক্র্যাটরা বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিজয় অর্জন করে উজ্জীবিত হয়েছে। তারা ভার্জিনিয়া ও নিউ জার্সিতে গভর্নরের আসনে এবং নিউইয়র্ক সিটিতে জোহ্রান মাবদানি মেয়র পদে জয় লাভ করে। ক্যালিফোর্নিয়ার ভোটাররা একটি ব্যালট ব্যবস্থা পাস করেছে, যা রিপাবলিকান রাজ্যগুলোতে ট্রাম্প-অনুপ্রাণিত জারিম্যান্ডারিংয়ের (রাজনৈতিক সুবিধা পেতে নির্বাচনী এলাকার সীমানা পুনর্নির্ধারণ) প্রতিক্রিয়ায় তাদের কংগ্রেসনাল জেলাগুলো ডেমোক্র্যাটদের অনুকূলে পুনর্গঠন করবে।
রয়টার্স-ইপসোস জরিপটি বুধবার শেষ হয়, ঠিক তার আগে কংগ্রেস মার্কিন ইতিহাসে দীর্ঘতম সরকারি অচলাবস্থা (৪৩ দিনের) অবসানের পক্ষে ভোট দেয়। নতুন ব্যয় বিলটি প্রতিনিধি পরিষদে ২২২-২০৯ ভোটে পাস হয়, যেখানে ছয়জন ডেমোক্র্যাট রিপাবলিকানদের সঙ্গে যোগ দিয়েছিলেন। জরিপে উৎসাহের পার্থক্য থাকলেও, ভবিষ্যতের ভোটের উদ্দেশ্য নিয়ে দুই দল প্রায় সমান প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে উঠে এসেছে। নিবন্ধিত ভোটারদের কাছে জানতে চাওয়া হলে, ৪১ শতাংশ ডেমোক্র্যাট প্রার্থীকে এবং ৪০ শতাংশ রিপাবলিকান প্রার্থীকে বেছে নেন। এই সামান্য পার্থক্যটি জরিপের ৩ শতাংশ পয়েন্ট ত্রুটির মার্জিনের মধ্যেই রয়েছে।







