জুলাই জাতীয় সনদ স্বাক্ষরের পর তা সংশোধন করা নিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না। তিনি অভিযোগ করেছেন, সনদ সংশোধনের অধিকার সরকারকে কেউ দেয়নি, অথচ ‘গায়ের জোরে মূর্খের মতো সনদ সংশোধন করা হয়েছে’।
শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) বিকেলে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউটে গণসংহতি আন্দোলনের জাতীয় সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বাধীন ঐকমত্য কমিশনের বিরুদ্ধে তিনি এই মন্তব্য করেন।
নোট অব ডিসেন্ট বাদ দেওয়ায় ‘প্রতারণা’র অভিযোগ
মাহমুদুর রহমান মান্না জুলাই সনদের চূড়ান্ত সুপারিশে ‘নোট অব ডিসেন্ট’ (ভিন্নমত) বাদ দেওয়ার কঠোর সমালোচনা করেন। তিনি বলেন:
“জুলাই সনদের প্রস্তাবনা থেকে নোট অব ডিসেন্ট (ভিন্নমত) বাদ দেওয়া হয়েছে। এটি একটি প্রতারণা।”
তিনি আরও বলেন, সনদ সইয়ের দিন ৫ নম্বর দফা পরিবর্তন করা হয়েছিল। এরপর ঐকমত্য কমিশন ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত সনদে পরিবর্ধন ও পরিমার্জন করার কথা বলেছে। কিন্তু:
“সনদ স্বাক্ষরের পর তা পরিবর্তন করার অধিকার তাদের কেউ দেয়নি।”
সংস্কার প্রক্রিয়া ‘এলোমেলো’ করার অভিযোগ
মাহমুদুর রহমান মান্না মনে করেন, প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস সংস্কার করতে গিয়ে পুরো বিষয়টি এলোমেলো করে ফেলেছেন।
তিনি আরও সতর্ক করে বলেন, ফ্যাসিবাদ থেকে গণতান্ত্রিক উন্নয়নে সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন প্রয়োজন। যারা পিআর (সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব) পদ্ধতি চায়, তাদের চেহারায় শান্ত মনে হলেও ভেতরে ‘তুষের আগুন’ পুষে রেখেছে।







