মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের মধ্যে আসন্ন বৈঠকের আগে বাণিজ্য চুক্তির প্রাথমিক কাঠামো নিয়ে ঐকমত্যে পৌঁছেছে বিশ্বের দুই বৃহত্তম অর্থনীতি। মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে অনুষ্ঠিত আসিয়ান শীর্ষ সম্মেলনের পার্শ্ব বৈঠকে রবিবার উভয় পক্ষের শীর্ষ অর্থনৈতিক কর্মকর্তাদের মধ্যে এই সমঝোতা হয়। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
চূড়ান্ত আলোচনার জন্য প্রস্তুত কাঠামো
রবিবার পঞ্চম দফা সরাসরি আলোচনায় অংশ নেন মার্কিন অর্থমন্ত্রী স্কট বেসেন্ট, বাণিজ্য প্রতিনিধি জেমিসন গ্রিয়ার এবং চীনের উপপ্রধানমন্ত্রী হে লিফেং ও প্রধান বাণিজ্য আলোচক লি চেংগ্যাং। আলোচনার পর মার্কিন অর্থমন্ত্রী বেসেন্ট সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন:
“আমরা একটি সফল কাঠামো তৈরি করেছি, যা নেতাদের আলোচনার জন্য প্রস্তুত। বৃহস্পতিবারের বৈঠক ফলপ্রসূ হবে বলে আমি বিশ্বাস করি।”
বেসেন্ট এনবিসি টেলিভিশনকে জানান, এই প্রাথমিক চুক্তির মাধ্যমে চীনের রেয়ার আর্থ খনিজ ও চুম্বক রফতানির ওপর সম্প্রসারিত নিয়ন্ত্রণ স্থগিত হতে পারে এবং ট্রাম্পের প্রস্তাবিত ১০০ শতাংশ নতুন শুল্ক আরোপও এড়ানো সম্ভব হবে।
ট্রাম্প-শি আলোচনার মূল বিষয়বস্তু
৩০ অক্টোবর দক্ষিণ কোরিয়ায় ট্রাম্প ও শি জিনপিংয়ের মধ্যে মুখোমুখি বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। এই বৈঠকে যেসব বিষয় প্রাধান্য পাবে:
১. কৃষিপণ্য রফতানি: মার্কিন কৃষিপণ্যের, বিশেষ করে সয়াবিন রফতানি বৃদ্ধি।
২. বাণিজ্য ভারসাম্য: দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ভারসাম্য ফিরিয়ে আনা।
৩. ফেন্টানিল সংকট: যুক্তরাষ্ট্রে ফেন্টানিল মাদক সংকট মোকাবিলা। (এই মাদক সংকটের কারণেই চীনা পণ্যের ওপর ২০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়েছিল)।
চীনা আলোচক লি চেংগ্যাং বলেন, “আমরা প্রাথমিক পর্যায়ে একমত হয়েছি। এখন দুই দেশই নিজেদের অভ্যন্তরীণ অনুমোদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করবে। যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান কঠোর ছিল, কিন্তু আমরা গঠনমূলক আলোচনার মাধ্যমে সম্ভাব্য সমাধান খুঁজেছি।”
ডোনাল্ড ট্রাম্প বর্তমানে পাঁচ দিনের এশিয়া সফরে আছেন এবং তিনি চীনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে আলোচনায় একটি পূর্ণাঙ্গ চুক্তি সম্পন্ন হওয়ার ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী বলে জানিয়েছেন।






