ওয়েস্ট ইন্ডিজকে মাত্র ১১৭ রানে গুটিয়ে দিয়ে ১৭৯ রানের বিশাল ব্যবধানে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। ওয়ানডে ক্রিকেট ইতিহাসে এটি টাইগারদের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রানের ব্যবধানে জয়ের রেকর্ড। এই জয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশ তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজটি ২-১ ব্যবধানে নিশ্চিত করেছে।
ব্যাটিং দাপটে ২৯৬ রান
মিরপুরে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশ নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ২৯৬ রানের শক্তিশালী সংগ্রহ দাঁড় করায়। দলের জয়ের ভিত্তি স্থাপন করেন দুই ওপেনার সৌম্য সরকার ও সাইফ হাসান।
- সৌম্য সরকার অসাধারণ ব্যাটিং নৈপুণ্য দেখিয়ে করেন সর্বোচ্চ ৯১ রান।
- সাইফ হাসান করেন কার্যকরী ৮০ রান।
- উদ্বোধনী জুটিতে মাত্র ৪৬ বলে পঞ্চাশ রান আসে, যা দলের আগ্রাসী শুরুর ইঙ্গিত দেয়।
- শেষদিকে নাজমুল শান্ত (৪৪) ও সোহান-মিরাজ জুটি দলের স্কোরকে ২৯৬-এ নিয়ে যায়।
- ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নেন আকিল হোসেন (৪/৪১)।
ঘূর্ণি ঝড়ে ভেঙে পড়ল উইন্ডিজ
২৯৭ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ওয়েস্ট ইন্ডিজ শুরু থেকেই ধুঁকতে থাকে এবং মাত্র ৩০ ওভার ১ বলেই সবকটি উইকেট হারিয়ে ১১৭ রানে অলআউট হয়ে যায়।
বাংলাদেশের স্পিন ত্রয়ীর সামনে ক্যারিবীয় ব্যাটসম্যানরা অসহায় আত্মসমর্পণ করেন:
- নাসুম আহমেদ ৩ উইকেট নিয়ে মাত্র ১১ রান দেন।
- রিশাদ হোসেন নেন ৩টি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট।
- মেহেদী হাসান মিরাজ ও তানভীর ইসলাম প্রত্যেকে ২টি করে উইকেট শিকার করেন।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে সর্বোচ্চ রান আসে আকিল হোসেইনের ব্যাট থেকে (২৭ রান)। রোস্টন চেজ রানের খাতা খোলার আগেই রিশাদ হোসেনের শিকার হয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন।
রিশাদ হোসেনের নতুন রেকর্ড
এই সিরিজে দুর্দান্ত পারফর্ম করা লেগস্পিনার রিশাদ হোসেন সিরিজজুড়ে মোট ১২টি উইকেট শিকার করে এক নতুন রেকর্ড গড়েন। এটি তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে বাংলাদেশের যেকোনো স্পিনারের জন্য সর্বোচ্চ উইকেট শিকারের রেকর্ড। তাঁর এই ধারাবাহিক পারফরম্যান্সের সুবাদে তিনি সিরিজসেরা নির্বাচিত হন।
আগ্রাসী ইনিংসের জন্য সৌম্য সরকার জিতে নেন ম্যাচসেরার পুরস্কার।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
- বাংলাদেশ: ২৯৬/৮ (৫০ ওভার, সৌম্য ৯১, সাইফ ৮০, শান্ত ৪৪; আকিল ৪/৪১)।
- ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ১১৭/১০ (৩০.১ ওভার, কিং ১৮, আকিল ২৭; নাসুম ৩/১১, রিশাদ ৩/৫৪)।
- ফল: বাংলাদেশ ১৭৯ রানে জয়ী।
- সিরিজ: বাংলাদেশ ২-১ এ জয়ী।







