৪২ দেশের নাগরিকরা পাচ্ছেন ভিসা ছাড়াই যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণ করার সুযোগ; মানতে হবে কঠিন শর্ত

স্বল্পমেয়াদি ভ্রমণকে সহজ করতে ২০২৫ সালের জন্য ইউএস ভিসা ওয়েভার প্রোগ্রামের (VWP) আওতায় ৪২টি দেশের নাগরিকরা ভিসা ছাড়াই যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের সুযোগ পাচ্ছেন। এই বিশেষ প্রোগ্রামটি মূলত পর্যটন, ব্যবসায়িক সাক্ষাৎ বা শিক্ষামূলক উদ্দেশ্যে সংক্ষিপ্ত সফরের জন্য ভিসার বিকল্প হিসেবে কাজ করবে, তবে এর আওতায় যুক্তরাষ্ট্রে কাজ করা বা পড়াশোনা করা অনুমোদিত নয়।

কোন কোন দেশের নাগরিকরা সুবিধা পাচ্ছেন?

এই বিশেষ প্রোগ্রামের সুযোগ পাওয়া দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে ইউরোপ, এশিয়া-প্যাসিফিক ও মধ্যপ্রাচ্যের গুরুত্বপূর্ণ কিছু রাষ্ট্র।

  • ইউরোপ: অস্ট্রিয়া, ফ্রান্স, জার্মানি, নেদারল্যান্ডস, নরওয়ে, স্পেন, সুইজারল্যান্ড, রোমানিয়া, সুইডেন এবং মোনাকো।
  • এশিয়া-প্যাসিফিক: অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া, সিঙ্গাপুর, নিউজিল্যান্ড ও জাপান।
  • মধ্যপ্রাচ্য ও আমেরিকা: তাইওয়ান, ইসরায়েল, কাতার ও চিলি।

আবেদনের প্রক্রিয়া ও শর্তাবলী

যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের জন্য এই ভ্রমণকারীদের অবশ্যই একটি ইলেকট্রনিক পাসপোর্ট (ই-পাসপোর্ট) থাকতে হবে, যার মধ্যে অ্যাম্বেডেড চিপ সংযুক্ত আছে। এই পাসপোর্ট ভ্রমণকারীর পরিচয় এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করে।

যাত্রীদের অনলাইনে ইএসটিএ (ESTA)-এর মাধ্যমে নিবন্ধন সম্পন্ন করতে হবে। একবার অনুমোদন পেলে এটি দুই বছর পর্যন্ত বৈধ থাকে। তবে ভিসামুক্ত প্রবেশের এই সুযোগের কিছু কঠোর শর্ত রয়েছে:

  • প্রবেশ বা অবস্থানের মেয়াদ সর্বোচ্চ ৯০ দিনের জন্য সীমিত।
  • যারা অভিবাসন, কাজ বা পূর্ণকালীন পড়াশোনার উদ্দেশ্যে যেতে চান, তাদের জন্য এই প্রোগ্রাম প্রযোজ্য নয়।
  • অপরাধমূলক ইতিহাসে জড়িত ব্যক্তিরা অযোগ্য বলে বিবেচিত হবেন।
  • ২০১১ সালের পর ইরান বা উত্তর কোরিয়ার মতো নিষিদ্ধ দেশে ভ্রমণ করেছেন এমন ব্যক্তিরা আবেদন করতে পারবেন না।
  • যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা প্রোটোকল লঙ্ঘনকারী ব্যক্তিরাও এই প্রোগ্রামের সুবিধা নিতে পারবেন না।

নিরাপত্তা ও আইনগত যাচাইবাছাইয়ের গুরুত্ব

এই প্রোগ্রামের মাধ্যমে বিদেশি ভ্রমণকারীদের জন্য যুক্তরাষ্ট্রে স্বল্পমেয়াদি ভ্রমণ দ্রুত ও স্বচ্ছন্দ হচ্ছে। তবে এটি সকলের জন্য প্রযোজ্য নয় এবং প্রতিটি যাত্রীকে নিরাপত্তা ও আইনগত যাচাইবাছাইয়ের মাধ্যমে বিস্তারিতভাবে পরীক্ষা করা হয়। সবমিলিয়ে, ২০২৫ সালের এই প্রোগ্রামটি সীমিত মেয়াদ ও শর্তাধীনে যুক্তরাষ্ট্রের ভ্রমণকে সহজ করলেও, নিরাপত্তা ও আইনগত নিয়মাবলি মেনে চলা এর মূল ভিত্তি।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top