যুক্তরাষ্ট্র সফররত বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ উপদেষ্টা সালেউদ্দিন আহমেদ সম্প্রতি আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)-এর বার্ষিক সভায় যোগ দেওয়ার পাশাপাশি মার্কিন বাণিজ্যিক সংস্থা ইউএস চেম্বার অব কমার্সের সঙ্গে এক উচ্চপর্যায়ের গোলটেবিল বৈঠকে অংশ নিয়েছেন। বৈঠকে তিনি জোর দিয়ে বলেছেন, ঢাকা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য ঘাটতি কমানোর জন্য সক্রিয় উদ্যোগ নিয়েছে।
ভঙ্গুর অর্থনীতি থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর বার্তা
সোমবার (১৩ অক্টোবর) সকালে ওয়াশিংটন ডিসিতে অনুষ্ঠিত এই গোলটেবিল বৈঠকে অর্থ উপদেষ্টা সালেউদ্দিন আহমেদের সঙ্গে ছিলেন অর্থ সচিব, ইআরডি সচিবসহ বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। এছাড়া, ঢাকায় নিযুক্ত সাবেক রাষ্ট্রদূত পিটার হাস সহ যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম সারির ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি তুলে ধরেন সালেউদ্দিন আহমেদ, প্রধান উপদেষ্টার আন্তর্জাতিক বিষয়ক দূত লুৎফে সিদ্দিকী এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মানসুর। তারা বলেন:
- অন্তর্বর্তী সরকার একটি ভঙ্গুর অর্থনীতি উত্তরাধিকার সূত্রে পেয়েছিল। তবে মাত্র এক বছরের মধ্যে দেশ ঘুরে দাঁড়িয়েছে।
- রিজার্ভ, বন্দর ব্যবস্থাপনা এবং আর্থিক খাতে এখন সন্তোষজনক অবস্থা বিরাজ করছে।
- ব্যাংকিং, আর্থিক ও রাজস্ব খাতে সংস্কারের কাজ জোরেশোরে চলছে।
- বর্তমানে ডলার সংকট নেই এবং ব্যবসায়ীদের সকল পাওনা সময়মতো পরিশোধ করা হচ্ছে।
- বাংলাদেশে একটি উৎকৃষ্ট বিনিয়োগ পরিবেশ এবং চমৎকার স্থিতিশীলতা বিরাজমান।
ব্যবসায়ীবান্ধব নীতিতে জোর ও বাণিজ্য ঘাটতি কমানোর আশ্বাস
বাংলাদেশ প্রতিনিধি দল মার্কিন বিনিয়োগকারীদের আশ্বাস দেয় যে, বিনিয়োগকারীদের জন্য ঝামেলাহীন পরিবেশ নিশ্চিত করা হয়েছে। তারা আরও জানান, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য ঘাটতি কমানোর জন্য সরকার ইতোমধ্যে দৃশ্যমান পদক্ষেপ নিয়েছে।
বৈঠকে আমেরিকান প্রতিনিধিরা বাংলাদেশের বাণিজ্য নীতি, রাজস্ব খাত ও বীমাসহ বিভিন্ন বিষয়ে তাদের পর্যবেক্ষণ তুলে ধরেন। অর্থ উপদেষ্টা প্রত্যাশা করেন, অন্তর্বর্তী সরকারের বেসরকারিখাতকে গুরুত্ব দিয়ে বিভিন্ন নীতিমালা ব্যবসাবান্ধব করার যে পথচলা শুরু করেছে, তাতে ভবিষ্যতে বাংলাদেশে আমেরিকান ব্যবসায়ীদের পদচারণা আরও বাড়বে। মার্কিন বিনিয়োগকারীরাও বাংলাদেশ বিষয়ে অন্য যে কোনো সময়ের চেয়ে অধিক উৎসাহ প্রকাশ করেছেন বলে জানা গেছে।







