হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে লাগা ভয়াবহ আগুন প্রায় সাত ঘণ্টার চেষ্টায় অবশেষে নিয়ন্ত্রণে এসেছে। আগুন নিয়ন্ত্রণের পরপরই দেশের প্রধান এই বিমানবন্দরে উড়োজাহাজ ওঠানামা পুনরায় শুরু হয়েছে।
আজ শনিবার (১৮ অক্টোবর) দুপুর সোয়া ২টার দিকে আগুন লাগার খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের মোট ৩৭টি ইউনিট রাতভর আগুন নেভানোর কাজে অংশ নেয়। ফায়ার সার্ভিস নিশ্চিত করেছে, রাত ৯টা ১৮ মিনিটে আগুন ‘নিয়ন্ত্রণে’ আনা সম্ভব হয়েছে।
রাতেই বিমান চলাচল শুরু, অবতরণ করল দুবাই ফ্লাইট
আগুনের সূত্রপাতের পরপরই বিমানবন্দরের সব ধরনের ফ্লাইট অপারেশন সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছিল। তবে আগুন নিয়ন্ত্রণের পর দ্রুতই বিমান চলাচল শুরু করার উদ্যোগ নেয় বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়।
মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, রাত ৯টার পর দুবাই থেকে আসা একটি ফ্লাইট শাহজালাল বিমানবন্দরে সফলভাবে অবতরণ করেছে।
সন্ধ্যার পর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন সাংবাদিকদের বলেন, “আমরা যত দ্রুত সম্ভব বিমানবন্দর চালু করব। আমরা চেষ্টা করছি যে যত দ্রুত পারি, আজ রাতের মধ্যেই ফ্লাইট ওপেন করব।”
এই অগ্নিকাণ্ডে কেউ নিহত হননি, তবে আগুন নেভাতে গিয়ে কয়েকজন আনসার সদস্য আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। বিমানবন্দরের মূল যাত্রী টার্মিনালটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি, যদিও ঘন ধোঁয়ার কারণে রানওয়েতে সাময়িক বাধা সৃষ্টি হয়েছিল।
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে খবর প্রকাশ
বাংলাদেশের প্রধান বিমানবন্দরে এই অগ্নিকাণ্ডের খবর আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমেও গুরুত্ব সহকারে প্রকাশিত হয়েছে। রয়টার্স, এএফপি এবং দ্য নিউইয়র্ক টাইমস-এর প্রতিবেদনে ফ্লাইট চলাচল সাময়িক স্থগিত থাকার বিষয়টি জানানো হয়।
এদিকে, এয়ার ইন্ডিয়া এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ঢাকা বিমানবন্দর বন্ধ থাকার কারণে ১৮ অক্টোবর নির্ধারিত দিল্লি-ঢাকা ফ্লাইট (এআই২৩৭) বিলম্বিত হয়েছে। এর ফলস্বরূপ ঢাকা থেকে দিল্লিগামী ফিরতি ফ্লাইটটিও (এআই২৩৮) দেরিতে ছাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে অন্তর্বর্তী সরকার একটি কঠোর বার্তা দিয়েছে। সরকার জানিয়েছে, যদি এই অগ্নিকাণ্ডের পেছনে নাশকতা বা অগ্নিসংযোগের কোনো বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ পাওয়া যায়, তাহলে সরকার তাৎক্ষণিক ও দৃঢ় পদক্ষেপ নেবে।







