অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস মন্তব্য করেছেন যে, জুলাই সনদ স্বাক্ষর করা কেবল একটি সূচনা। এটিকে ‘অনেক দূর এগিয়ে নিতে হবে’ এবং এই সনদের সফল বাস্তবায়নের সঙ্গেই দেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও গণতান্ত্রিক চর্চার ভবিষ্যৎ নিহিত।
বুধবার (১৫ অক্টোবর) সন্ধ্যায় রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের এক জরুরি বৈঠকে তিনি এই আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
শুক্রবার সনদ স্বাক্ষর, ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন
প্রধান উপদেষ্টা নিশ্চিত করেছেন যে, আগামী শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) উৎসবমুখর পরিবেশে জুলাই সনদ আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাক্ষরিত হবে।
তিনি নির্বাচন আয়োজনের বিষয়েও তার সরকারের দৃঢ় অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করে বলেন, আগামী ফেব্রুয়ারিতেই উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এবং এ জন্য প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেবে সরকার। তিনি বলেন, নির্বাচনের সঙ্গে জুলাই সনদ গভীরভাবে জড়িত।
বৈঠকে রাজনৈতিক দল ও কমিশন সদস্যদের অংশগ্রহণ
জুলাই সনদের বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনার জন্য আয়োজিত এই জরুরি বৈঠকে দেশের বিভিন্ন স্তরের রাজনৈতিক দলের নেতারা অংশ নেন। অংশগ্রহণকারী উল্লেখযোগ্য দলগুলোর মধ্যে ছিল—বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), গণসংহতি আন্দোলন, জেএসডি (রব), বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, এবি পার্টিসহ আরও অনেকে।
এর আগে, বিকেলেও রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের একটি প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়। এই বৈঠকে কমিশনের সহসভাপতি প্রফেসর আলী রীয়াজ, সদস্য বিচারপতি মো. এমদাদুল হকসহ ড. ইফতেখারুজ্জামান, ড. বদিউল আলম মজুমদার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান এবং মুখ্য সচিব এম সিরাজ উদ্দিন মিয়াও বৈঠকে অংশ নেন।
