বিএনপি’র সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরামের সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে উদ্দেশ করে দলের সমর্থন নিয়ে এক কঠোর বার্তা দিয়েছেন। তিনি স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন, আসন্ন নির্বাচনের জন্য ঐতিহাসিক পরিবেশ তৈরি করাই তাদের সমর্থনের মূল শর্ত।
বুধবার রাতে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সভায় ‘জুলাই সনদ’ নিয়ে আলোচনার সময় সালাহউদ্দিন আহমদ এসব কথা বলেন।
‘প্রতিরক্ষা বাহিনীর ভারসাম্য নষ্ট হোক, আমরা চাই না’
বিএনপি নেতা দেশের স্থিতিশীলতা রক্ষার ওপর জোর দিয়ে প্রধান উপদেষ্টাকে সতর্ক করে বলেন, “আমরা চাই না প্রতিরক্ষা বাহিনীগুলোর মধ্যে কোনো রকমের ভারসাম্য নষ্ট হোক। আমরা সেটি অ্যাফোর্ড করতে পারব না এই মুহূর্তে।” তিনি বলেন, নির্বাচনের আগে রাষ্ট্রকে অবশ্যই ‘ব্যালেন্সড অবস্থায়’ থাকতে হবে।
তিনি আরও সতর্ক করেন, “পতিত স্বৈরাচার এবং তাদের দোসর একটি দেশ এই সুযোগ নেওয়ার জন্য বসে থাকবে।” সুতরাং, বাস্তবতার নিরিখে পদক্ষেপ নিতে হবে এবং কোনো রকমের ঝুঁকির মধ্যে যাওয়া যাবে না।
‘আমাদের সমর্থন সীমাহীন নয়, ঐতিহাসিক নির্বাচনই শর্ত’
প্রধান উপদেষ্টার প্রতি দলের সমর্থন অব্যাহত থাকার কথা জানালেও সালাহউদ্দিন আহমদ এটিকে ‘কন্ডিশনাল’ (শর্তসাপেক্ষ) বলে উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, “মাননীয় উপদেষ্টা, আমাদের কন্টিনিয়াস সমর্থন আপনার প্রতি ছিল, আছে। কিন্তু এটা শর্তসাপেক্ষ।” তিনি আরও যোগ করেন, “আপনার প্রতি আমাদের সীমাহীন সমর্থন নয়, আমাদের সীমারেখা আছে।”
বিএনপির এই নীতি–নির্ধারক স্পষ্ট করে দেন যে গণতান্ত্রিক উত্তরণের জন্য এই সীমারেখার মধ্যে সমর্থন দেওয়া হচ্ছে এবং আপনার নেতৃত্বে একটি ঐতিহাসিক নির্বাচন—এটাই হচ্ছে কন্ডিশন (শর্ত)।
সচিবালয়ে ‘রাজত্ব সৃষ্টি’ নিয়ে গুরুতর অসন্তোষ
প্রশাসনিক বিষয়ে হস্তক্ষেপ নিয়েও গভীর অসন্তোষ প্রকাশ করেন সালাহউদ্দিন আহমদ। তিনি বলেন, সচিবালয়ে বদলি-পদায়নের জন্য প্রধান উপদেষ্টা যে মন্ত্রিপরিষদের কমিটি (কেবিনেট কমিটি) করে দিয়েছেন, সেটির কোনো প্রচলন বা নিয়ম নেই।
তিনি অভিযোগ করেন, “তারা যা করছে পদোন্নতি বা নিয়োগ-বদলির মধ্যে, সেটা ওখানে একটা রাজত্ব সৃষ্টি হয়েছে। আপনি খোঁজ নেবেন। আমরা খুব অসন্তোষ প্রকাশ করছি।”







