ছবি- আলজাজিরা
দুই বছরের বিধ্বংসী যুদ্ধ শেষে গাজা উপত্যকায় এখন পুনরুদ্ধারের প্রাথমিক কাজ শুরু হয়েছে। গাজা সিটিতে যুদ্ধবিধ্বস্ত এলাকাগুলো থেকে ধ্বংসাবশেষ সরানোর জন্য বুলডোজার নামানো হয়েছে। একই সঙ্গে, যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ায় বাস্তুচ্যুত দশ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি উত্তরাঞ্চলের চরম ক্ষতিগ্রস্ত শহরগুলোতে নিজ নিজ বাড়িতে ফিরতে শুরু করেছেন।
হামাস ও ইসরায়েলের চূড়ান্ত প্রস্তুতি: জিম্মি হস্তান্তরের স্থান চিহ্নিত, বন্দি তালিকা নিয়ে জটিলতা
যুদ্ধবিরতি চুক্তির সবচেয়ে সংবেদনশীল অংশ, অর্থাৎ জিম্মি বিনিময়ের প্রক্রিয়া শুরু করতে চলেছে উভয় পক্ষ।
- জিম্মি স্থানান্তর: আল-জাজিরাকে দেওয়া এক হামাস সূত্র জানিয়েছে, গাজায় আটক জীবিত ইসরায়েলি জিম্মিদের তিনটি ভিন্ন হস্তান্তর স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। আজ রাতে জিম্মিদের হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চূড়ান্ত করতে হামাসের একটি প্রতিনিধিদল ইন্টারন্যাশনাল কমিটি অফ দ্য রেড ক্রস (ICRC)-এর সাথে দেখা করবে।
- বন্দি তালিকা: চুক্তির অংশ হিসেবে ইসরায়েল ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি দেওয়ার আগে তাদের দুটি জেলে স্থানান্তর করা শুরু করেছে। তবে এই প্রক্রিয়ায় একটি জটিলতা তৈরি হয়েছে। সূত্রটি জানিয়েছে, মুক্তিপ্রাপ্ত ফিলিস্তিনি বন্দিদের তালিকা চূড়ান্ত করতে হামাস মধ্যস্থতাকারী দেশগুলোর সাথে নিবিড় যোগাযোগ রাখছে। ইসরায়েল কয়েকটি নাম প্রত্যাখ্যান করা সত্ত্বেও মধ্যস্থতাকারীরা এখনো চূড়ান্ত তালিকা তৈরি করতে কাজ করছেন।
এই পটভূমিতেই মিশরের শারম আল-শেখ শহরে একটি গুরুত্বপূর্ণ গাজা যুদ্ধবিরতি শীর্ষ সম্মেলনের প্রস্তুতি চলছে, যেখানে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে।
মানবিক ক্ষয়ক্ষতির হিসাব
এই দীর্ঘস্থায়ী সংঘাতের মানবিক মূল্য ছিল ভয়াবহ:
- গাজায়: অক্টোবর ২০২৩ থেকে শুরু হওয়া ইসরায়েলের হামলায় কমপক্ষে ৬৭,৮০৬ জন নিহত এবং ১,৭০,০৬৬ জন আহত হয়েছেন।
-
ইসরায়েলে: ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরের হামলায় মোট ১,১৩৯ জন নিহত হয়েছিলেন এবং প্রায় ২০০ জনকে জিম্মি করা হয়েছিল।
সূত্র- আলজাজিরা







