ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তির প্রথম ধাপ শুরু হওয়ার পর গাজার পরিস্থিতি নতুন মোড় নিয়েছে। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী যুদ্ধবিরতি মেনে আংশিকভাবে সেনা প্রত্যাহার করায়, উত্তর গাজার বিধ্বস্ত শহর ও অঞ্চলগুলোতে দশ হাজারেরও বেশি বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনি নিজ বাড়িতে ফিরতে শুরু করেছেন।
তবে এই শান্তি প্রক্রিয়ার মধ্যেই গাজার ভবিষ্যৎ এবং যুদ্ধকালীন নৃশংসতা নিয়ে রাজনৈতিক বিতর্ক মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে।
বিদেশি অভিভাবকত্ব প্রত্যাখ্যান, যুদ্ধাপরাধের আন্তর্জাতিক তদন্ত দাবি
গাজার শাসনভার নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে জল্পনা চললেও ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ সংগঠনগুলো এর তীব্র বিরোধিতা করেছে। হামাস, প্যালেস্টাইন ইসলামিক জিহাদ (পিআইজে) এবং পপুলার ফ্রন্ট ফর দ্য লিবারেশন অব প্যালেস্টাইন (পিএফএলপি) – এই তিনটি প্রধান গোষ্ঠী স্পষ্টভাবে ঘোষণা করেছে যে তারা গাজা উপত্যকায় ‘যেকোনো বিদেশি অভিভাবকত্ব’ কঠোরভাবে প্রত্যাখ্যান করছে।
অন্যদিকে, গাজার কর্মকর্তারা যুদ্ধের সময় ইসরায়েলের দ্বারা সংঘটিত যুদ্ধাপরাধ এবং গণহত্যার অভিযোগগুলো নিয়ে স্বাধীন ও আন্তর্জাতিক তদন্তের দাবি জানিয়েছেন।
সোমবার জিম্মি মুক্তির সম্ভাবনা, ৬ হাজার ত্রাণ ট্রাকের অপেক্ষা
এই মানবিক সংকটের মধ্যে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নিশ্চিত করেছেন যে গাজায় হামাসের হাতে আটক ইসরায়েলি জিম্মিদের সোমবার (আগামীকাল) মুক্তি দেওয়া হতে পারে।
এদিকে, গাজায় মানবিক সহায়তার তীব্র সংকট নিরসনে জাতিসংঘ ত্রাণ সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ (UNRWA) জরুরি ভিত্তিতে গাজার সমস্ত ক্রসিং (সীমান্তপথ) খুলে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। সংস্থাটি জানিয়েছে, ৬,০০০ ত্রাণবাহী ট্রাক প্রস্তুত রয়েছে এবং ক্রসিং খুলে দিলেই সেগুলো কয়েক ঘণ্টার মধ্যে গাজায় প্রবেশ করতে পারবে। ভয়াবহ খাদ্যসংকটের কারণে এই দ্রুত ত্রাণ সরবরাহ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
সূত্র- আলজাজিরা







