বাংলাদেশের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ও রোহিঙ্গা বিষয়ক উচ্চ প্রতিনিধি ড. খলিলুর রহমান শনিবার (৩ অক্টোবর) যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করেছেন। এই আলোচনায় রোহিঙ্গা সংকট, শুল্ক হ্রাস এবং দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। এ সময় যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের নতুন রাষ্ট্রদূত তারেক এম. আরিফুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের আস্থা
রাজনৈতিক বিষয়াবলির আন্ডার সেক্রেটারি অ্যালিসন হুকারের সঙ্গে বৈঠকে ড. রহমান অন্তর্বর্তী সরকারের গৃহীত পদক্ষেপ তুলে ধরেন। জবাবে রাষ্ট্রদূত হুকার প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের দৃঢ় সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেন। তারা আঞ্চলিক রাজনৈতিক ও নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়েও আলোচনা করেন।
রোহিঙ্গা সংকট নিরসনে বাংলাদেশের প্রচেষ্টার প্রতি সমর্থন জানান রাষ্ট্রদূত হুকার। ড. রহমান সম্প্রতি জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক সম্মেলনে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের ঘোষিত ৬ কোটি ডলারের সহায়তার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
শুল্ক হ্রাস ও বাণিজ্য ঘাটতি নিয়ে আলোচনা
ড. রহমান যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য প্রতিনিধি কার্যালয়ের (ইউএসটিআর) সহকারী প্রতিনিধি ব্রেন্ডান লিঞ্চের সঙ্গে একটি পৃথক বৈঠক করেন। এই বৈঠকে সম্প্রতি সমাপ্ত শুল্ক আলোচনা-সম্পর্কিত অগ্রগতির বিষয়ে আলোচনা হয়।
ড. রহমান যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য ঘাটতি কমানোর ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন এবং বাণিজ্য ঘাটতি আরও সংকুচিত হলে শুল্ক হ্রাসের বিষয়ে বিবেচনার অনুরোধ জানান। জবাবে লিঞ্চ বলেন, শুল্ক চুক্তি বাস্তবায়ন এবং বাণিজ্য ঘাটতি কমার সঙ্গে সঙ্গেই বিষয়টি পূর্ণাঙ্গভাবে বিবেচনা করা হবে।
ড. রহমান প্রিন্সিপাল ডেপুটি সহকারী সচিব নিকোল চুলিক এবং ডেপুটি সহকারী সচিব অ্যান্ড্রু হেরাপের সঙ্গেও দ্বিপাক্ষিক নানা বিষয়ে আলোচনা করেন। এই বৈঠকগুলো বাংলাদেশের নতুন অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের গভীর ও কৌশলগত সম্পর্ককে আরও সুসংহত করবে বলে মনে করা হচ্ছে।