আগামী তিনদিন (৬ অক্টোবর সকাল পর্যন্ত) সারা দেশে ভারি থেকে অতি ভারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। এর প্রভাবে দেশের প্রধান নদ-নদীগুলোর পানি বৃদ্ধি পেয়ে পাঁচ জেলার নিম্নাঞ্চল সাময়িকভাবে প্লাবিত হতে পারে বলে সতর্ক করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র (FFWC)।
শুক্রবার (৩ অক্টোবর) দেশের নদ-নদীর বর্তমান অবস্থা নিয়ে এক পূর্বাভাসে এই আশঙ্কার কথা জানানো হয়।
তিস্তা ও সোমেশ্বরী অববাহিকায় সতর্কতা
বন্যা পূর্বাভাস কেন্দ্র জানিয়েছে, আগামী তিনদিন রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অভ্যন্তরে এবং উজানে ভারতের সংলগ্ন রাজ্যগুলোতে বিচ্ছিন্নভাবে ভারি থেকে অতি ভারি বৃষ্টিপাত হতে পারে। এর ফলে কয়েকটি নদীর পানি দ্রুত বাড়তে পারে:
- তিস্তা নদী: এই নদীর পানি সমতল বৃদ্ধি পেয়ে আগামী তিনদিনে সতর্কসীমায় প্রবাহিত হতে পারে। ফলে লালমনিরহাট ও নীলফামারী জেলার নদী-সংলগ্ন নিম্নাঞ্চলগুলো সাময়িকভাবে প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
- সোমেশ্বরী, ভুগাই ও কংস নদী: ময়মনসিংহ বিভাগের এই নদীগুলোর পানি সমতলও বাড়তে পারে। এতে শেরপুর, ময়মনসিংহ এবং নেত্রকোণা জেলার নদী-সংলগ্ন নিম্নাঞ্চলগুলো সাময়িকভাবে প্লাবিত হতে পারে এবং নদীর পানি সতর্কসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে।
উল্লেখ্য, গত ২৪ ঘণ্টায় তিস্তা নদীর পানি সমতল বৃদ্ধি পেয়েছে। অন্যদিকে ধরলা নদীর পানি হ্রাস এবং দুধকুমার নদীর পানি স্থিতিশীল রয়েছে।
অন্যান্য নদী ও উপকূলীয় পরিস্থিতি
পূর্বাভাসে আরও বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের করতোয়া, যমুনেশ্বরী, পুনর্ভবা এবং টাঙ্গন নদীর পানি সমতল বৃদ্ধি পেয়েছে। যদিও আত্রাই, মহানন্দা ও ঘাঘট নদীর পানি সমতল হ্রাস পেয়েছে। আগামী তিনদিনে এসব নদীর পানিও দ্রুত বাড়তে পারে।
এদিকে, বরিশাল, খুলনা ও চট্টগ্রাম বিভাগের উপকূলীয় নদীগুলোয় বর্তমানে স্বাভাবিকের চেয়ে উচ্চতর জোয়ার বিরাজ করছে, যা আগামী একদিনও অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র।