এশিয়া কাপের শুরু থেকেই ফেভারিট হিসেবে নিজেদের প্রমাণ করা ভারত শেষ পর্যন্ত চ্যাম্পিয়নের মুকুটই পরলো। ফাইনালে পাকিস্তানকে ৫ উইকেটে হারিয়ে নবমবারের মতো এশিয়া কাপের শিরোপা ঘরে তুললো তারা। পাকিস্তানের দেওয়া ১৪৭ রানের লক্ষ্য ২ বল হাতে রেখেই জিতে নিয়েছে ভারত।
পাকিস্তানের ইনিংস: দুর্দান্ত শুরু শেষে হঠাৎ ধস
ফাইনালে ব্যাটিংয়ের শুরুটা দারুণ হয়েছিল পাকিস্তানের। ওপেনিং জুটিতে সাহিবজাদা ফারহান (৫৭) ও ফখর জামান (৪৬) মিলে গড়েন ৮৪ রানের বড় জুটি। এক পর্যায়ে ১ উইকেটে ১১৩ রান তুলে তারা বিশাল সংগ্রহের ইঙ্গিত দিচ্ছিল। কিন্তু ঠিক তখনই ব্যাটিংয়ে নামে বিপর্যয়। ভারতের বোলারদের তোপে শেষ ৯ উইকেট মাত্র ৩৩ রানে হারিয়ে অলআউট হয়ে যায় পাকিস্তান। ভারতের হয়ে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নেন কুলদীপ যাদব, আর বুমরাহ, অক্ষর প্যাটেল ও বরুণ চক্রবর্তী প্রত্যেকে নেন ২টি করে উইকেট।
ভারতের ব্যাটিংয়ের লড়াই ও তিলক-দুবের জুটি ও ঝড়
১৪৭ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ভারতও শুরুতেই চাপে পড়ে। পাওয়ারপ্লেতে মাত্র ৩৬ রানেই ৩ উইকেট হারায় তারা। দ্রুত সাজঘরে ফেরেন অভিষেক শর্মা, সূর্যকুমার যাদব ও শুবমান গিল। তবে এক প্রান্ত আগলে রেখে দলের হাল ধরেন তিলক ভার্মা। দায়িত্বশীল ব্যাটিং করে তিনি নিজের অর্ধশতক পূর্ণ করেন। এরপর সঞ্জু স্যামসন ও শিবম দুবের সঙ্গে ছোট ছোট জুটি গড়ে দলকে জয়ের পথে রাখেন।
শেষ ওভারে ভারতের দরকার ছিল ১০ রান, আর বোলিংয়ে ছিলেন পাকিস্তানের তারকা বোলার হারিস রউফ। রউফের প্রথম বলে ২ রান নেওয়ার পর দ্বিতীয় বলেই ছক্কা হাঁকিয়ে ম্যাচ প্রায় ভারতের মুঠোয় নিয়ে আসেন তিলক ভার্মা। এরপর চতুর্থ বলে রিংকু সিংয়ের মারা চারে জয় নিশ্চিত হয় ভারতের।
ভারত নবম শিরোপার মালিক
এই জয়ের ফলে ভারত এশিয়া কাপের ইতিহাসে নবমবারের মতো শিরোপা জিতলো। এর মধ্যে সাতবার ওয়ানডে ফরম্যাটে এবং দুবার টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে চ্যাম্পিয়ন হলো তারা।