এশিয়া কাপ ক্রিকেটের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ফাইনালে মুখোমুখি হতে যাচ্ছে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারত ও পাকিস্তান। দুবাইয়ে হতে যাওয়া এই মহাগুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের আগে কাগজে-কলমে শক্তি ও সাম্প্রতিক ফর্ম বিবেচনায় ভারতকে এগিয়ে রাখছেন ক্রিকেট বিশ্লেষকরা।
তবে পাকিস্তানকে কোনোভাবেই হালকাভাবে দেখার সুযোগ নেই। শেষবার দুই দল কোনো ফাইনালে খেলেছিল ২০১৭ সালের চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে, যেখানে পাকিস্তানই চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। এছাড়াও, ১৯৯২ বিশ্বকাপ এবং ২০০৯ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মতো ফাইনালে পাকিস্তানের জ্বলে ওঠার ইতিহাস রয়েছে। এখন দেখার বিষয়, আজকের ম্যাচে কোন দল মাঠে নামে এবং কে শেষ হাসি হাসে।
পাকিস্তানের সম্ভাব্য একাদশ ও ব্যাটিংয়ের দুর্বলতা
বাংলাদেশের বিপক্ষে যে একাদশ খেলেছিল, ফাইনালে সেই দলটিই অপরিবর্তিত থাকার সম্ভাবনা বেশি। টপ অর্ডারে ওপেনিংয়ে সাহিবজাদা ফারহানের সঙ্গে থাকবেন ফখর জামান। এশিয়া কাপে ছন্দে না থাকলেও তৃতীয় স্থানে আবার সুযোগ পেতে পারেন সাইম আইয়ুব, কারণ নতুন বলে তার স্পিন কার্যকর হতে পারে। এরপর দ্রুত উইকেট হারালে অধিনায়ক সালমান আগা ব্যাটিংয়ে আসতে পারেন। তবে দলের মূল ব্যাটিংয়ের ভরসা হয়ে উঠেছেন মূলত শেষের দিকের ব্যাটসম্যান শাহীন আফ্রিদি, মোহাম্মদ হারিস ও মোহাম্মদ নেওয়াজ। বাংলাদেশের বিপক্ষে ৫৫ রানে ৫ উইকেট হারানোর পর এই ত্রয়ীই দলকে ১৩৫ রানের সম্মানজনক স্কোর এনে দিয়েছিলেন।
বোলিংয়ে পাকিস্তানের প্রধান অস্ত্র নিঃসন্দেহে শাহিন শাহ আফ্রিদি ও হারিস রউফ। স্পিন বিভাগে আছেন দুর্দান্ত ফর্মে থাকা আবরার আহমেদ, যার ইকোনমি রেট টুর্নামেন্টে অসাধারণ। তাকে সঙ্গ দেবেন সাইম ও নেওয়াজ।
পাকিস্তানের সম্ভাব্য একাদশ: সালমান আগা (অধিনায়ক), সাহিবজাদা ফারহান, ফখর জামান, সাইম আইয়ুব, হুসেইন তালাত, মোহাম্মদ হারিস (উইকেটকিপার), মোহাম্মদ নেওয়াজ, আবরার আহমেদ, ফাহিম আশরাফ, হারিস রউফ, শাহিন শাহ আফ্রিদি।
ভারতের একাদশ ও হার্দিকের ইনজুরি-ভাবনা
ভারতের একাদশে অবশ্য পরিবর্তন আসা প্রায় নিশ্চিত। সর্বশেষ শ্রীলঙ্কা ম্যাচের জন্য বিশ্রামে থাকা যশপ্রীত বুমরাহ এই ম্যাচে ফিরছেন। তার সঙ্গে দলে ফিরতে পারেন অলরাউন্ডার শিবম দুবে। সেক্ষেত্রে বাদ পড়তে পারেন অর্শদীপ সিং ও হর্ষিত রানা।
তবে বড় দুঃসংবাদ হলো, শ্রীলঙ্কা ম্যাচে চোট পাওয়া হার্দিক পান্ডিয়ার ফাইনাল খেলা নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়েছে। তিনি না খেলতে পারলে ভারতের জন্য এটি বড় ধাক্কা হবে, কারণ বুমরাহর সঙ্গে নতুন বলে তিনিই নিয়মিত বোলিং করেছেন। হার্দিকের বিকল্প হিসেবে অর্শদীপ বা হর্ষিতের যেকোনো একজন খেলতে পারেন। স্পিন বিভাগ সামলাবেন বরুণ চক্রবর্তী ও কুলদীপ যাদব, প্রয়োজনে হাত ঘোরাবেন অক্ষর প্যাটেল।
ভারতের সম্ভাব্য একাদশ: অভিষেক শর্মা, শুবমান গিল, সূর্যকুমার যাদব (অধিনায়ক), তিলক বর্মা, সঞ্জু স্যামসন (উইকেটকিপার), হার্দিক পান্ডিয়া/অর্শদীপ সিং, অক্ষর প্যাটেল, শিবম দুবে, কুলদীপ যাদব, যশপ্রীত বুমরাহ ও বরুণ চক্রবর্তী।