কাতারে গত সপ্তাহে ইসরায়েলি হামলার পর এই প্রথম মুখ খুললেন হামাসের শীর্ষ নেতা গাজী হামাদ, যিনি হামলার সময় ঘটনাস্থলেই উপস্থিত ছিলেন। তিনি এই হামলাকে ‘তীব্র’ বলে বর্ণনা করেছেন এবং এতে হামাসের পাঁচ সদস্য ও কাতারের একজন নিরাপত্তা কর্মকর্তা নিহত হলেও তাদের জ্যেষ্ঠ নেতারা বেঁচে গেছেন বলে নিশ্চিত করেছেন।
বুধবার আল জাজিরাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে গাজি হামাদ জানান, তারা যখন কাতারী মধ্যস্থতাকারীদের কাছ থেকে পাওয়া একটি মার্কিন প্রস্তাব পর্যালোচনা করছিলেন, তখন বিকট বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পান। তিনি বলেন, “বৈঠক শুরুর এক ঘণ্টারও কম সময়ের মধ্যে আমরা বিকট বিস্ফোরণের শব্দ শুনি।”
‘১২টি রকেট, কিন্তু আমরা বেঁচেছি’
গাজা থেকে আসার কারণে তারা তাৎক্ষণিকভাবে বুঝেছিলেন যে এগুলো ইসরায়েলি শেলিং ছিল। গাজি হামাদ বলেন, “আমরা দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করি। এক মিনিটেরও কম সময়ে প্রায় ১২টি রকেট ছোড়া হয়েছিল, কিন্তু আল্লাহর ইচ্ছায়… আমরা এই আগ্রাসন থেকে বেঁচেছি।”
এই হামলার পর দোহায় আরব ও ইসলামিক দেশগুলোর নেতারা একটি জরুরি সম্মেলনে মিলিত হন এবং ইসরায়েলের এই হামলাকে ‘কাপুরুষোচিত’ বলে নিন্দা জানান। তবে, সম্মেলন থেকে কোনো সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপের অঙ্গীকার করা হয়নি।
মার্কিন মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা ও নেতানিয়াহুর পরিকল্পনা
সাক্ষাৎকারে গাজি হামাদ অস্ত্রবিরতি আলোচনাকে ‘তিক্ত’ অভিজ্ঞতা বলে উল্লেখ করে বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের একজন ‘সৎ মধ্যস্থতাকারী’ হিসেবে বিশ্বাসযোগ্যতা নেই। মার্কিন সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের হুমকির বিষয়ে মন্তব্য করে তিনি বলেন, “তিনি আমাদের ভয় দেখাতে পারেন না।” তিনি আরও বলেন, নেতানিয়াহুর মধ্যপ্রাচ্য পরিবর্তনের যে পরিকল্পনা রয়েছে, তার জন্য একটি আরব জোটের জোরালো প্রতিক্রিয়া প্রয়োজন।
সূত্র- আলজাজিরা