টিকে থাকার এক দারুণ লড়াইয়ে আফগানিস্তানকে ৮ রানে হারিয়ে সুপার ফোরে খেলার স্বপ্ন বাঁচিয়ে রাখল বাংলাদেশ। মোস্তাফিজুর রহমানের করা শেষ ওভারের রোমাঞ্চ শেষে বাংলাদেশ দলের খেলোয়াড়দের স্বস্তির নিঃশ্বাস আর উল্লাসে শেষ হয় এই বাঁচা-মরার ম্যাচ। এই জয়ে প্রথম পর্ব শেষ করল বাংলাদেশ।
ম্যাচজুড়ে বাংলাদেশের দাপট
টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ১৫৪ রান তোলে বাংলাদেশ, উইকেট হারায় ৫টি। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৫২ রান করেন তানজিদ। এছাড়া সাইফ ৩০ এবং হৃদয় ২৬ রান করে দলের স্কোরকে শক্তিশালী করেন। আফগান বোলারদের মধ্যে নুর এবং রশিদ প্রত্যেকে দুটি করে উইকেট নেন।
জবাবে, আফগানিস্তানকে নিয়মিত বিরতিতে চাপে রাখে বাংলাদেশের বোলাররা। ফলে পুরো ২০ ওভার খেলেও তারা ১৪৬ রানের বেশি করতে পারেনি এবং সবকটি উইকেট হারায়। আফগানদের পক্ষে গুরবাজ ৩৫ এবং ওমরজাই ৩০ রান করেন। বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে মোস্তাফিজুর রহমান দারুণ বোলিং করে মাত্র ২৮ রান দিয়ে ৩ উইকেট তুলে নেন। এছাড়া নাসুম আহমেদ দারুণ মিতব্যয়ী বোলিং করে মাত্র ১১ রান দিয়ে ২ উইকেট নিয়ে ম্যান অব দ্য ম্যাচ নির্বাচিত হন।
সুপার ফোরের সমীকরণ এখন জটিল
এই জয়ে বাংলাদেশ তিন ম্যাচে ৪ পয়েন্ট নিয়ে আপাতত পয়েন্ট তালিকার দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে। তবে সুপার ফোরে বাংলাদেশের ওঠা এখন নির্ভর করছে বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) হতে যাওয়া শ্রীলঙ্কা-আফগানিস্তান ম্যাচের ওপর।
- সহজ সমীকরণ: যদি শ্রীলঙ্কা সেই ম্যাচে আফগানিস্তানকে হারিয়ে দেয় অথবা ম্যাচটি পরিত্যক্ত হয়, তবে বাংলাদেশ সরাসরি সুপার ফোরে চলে যাবে।
- জটিল সমীকরণ: যদি আফগানিস্তান জিতে যায়, তাহলে বাংলাদেশ, আফগানিস্তান এবং শ্রীলঙ্কা – তিন দলেরই পয়েন্ট সমান (৪) হবে। সেক্ষেত্রে, সেরা দুই দলকে বাছাই করা হবে তাদের নেট রান রেটের ভিত্তিতে। বর্তমানে শ্রীলঙ্কার নেট রান রেট বাংলাদেশের চেয়ে অনেক ভালো। তাই আফগানিস্তান জিতলে বাংলাদেশের সুপার ফোরে ওঠার জন্য জটিল সমীকরণের মুখোমুখি হতে হবে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
বাংলাদেশ: ২০ ওভারে ১৫৪/৫ (তানজিদ ৫২, সাইফ ৩০, হৃদয় ২৬; নুর ২/২৩, রশিদ ২/২৬)।
আফগানিস্তান: ২০ ওভারে ১৪৬ (গুরবাজ ৩৫, ওমরজাই ৩০; মোস্তাফিজ ৩/২৮, নাসুম ২/১১)।
ফলাফল: বাংলাদেশ ৮ রানে জয়ী।