ইসরায়েলের হামলার পরেও গাজায় শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে কাতার। যুক্তরাষ্ট্র ও মিশরের সঙ্গে যৌথভাবে এই প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে দেশটি।
কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আব্দুলরহমান বিন জসিম আল থানি বলেন, কাতারের ওপর এই হামলা জাতিসংঘের সনদ এবং আন্তর্জাতিক রীতিনীতির চরম লঙ্ঘন। এ ধরনের অপরাধের কোনো জবাবদিহিতা না থাকা উচিত নয়। তিনি জোর দিয়ে বলেন, ইসরায়েলের এই আগ্রাসন সত্ত্বেও তাদের মধ্যস্থতা অব্যাহত থাকবে।
নেতানিয়াহুর হুঁশিয়ারি ও কূটনৈতিক উদ্বেগ
তবে কাতারের এই ঘোষণার বিপরীতে ইসরায়েলের পক্ষ থেকে কঠোর বার্তা এসেছে। দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু সম্প্রতি হুঁশিয়ারি দিয়েছেন যে, হামাসের কোনো সদস্য বা নেতা বিশ্বের কোথাও নিরাপদ নন। ইসরায়েল নিজেই তাদের বিচারের আওতায় আনার অধিকার রাখে।
এই ধরনের বক্তব্য ইঙ্গিত দেয় যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে কাতারকে আশ্বস্ত করা হলেও হামাস নেতারা এখনো ইসরায়েলের নজরদারির বাইরে নন। নেতানিয়াহুর এই অবস্থান কাতারের মধ্যস্থতা প্রচেষ্টার ওপর চাপ বাড়াচ্ছে এবং কূটনৈতিক অঙ্গনে উদ্বেগ সৃষ্টি করছে।
সূত্র- আলজাজিরা