সংবাদ সম্মেলনে প্যানেলের সহসভাপতি (ভিপি) পদপ্রার্থী মো. শেখ সাদী হাসানসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগের বিস্তারিত
সংবাদ সম্মেলনে তানজিলা হোসাইন বৈশাখী অভিযোগ করে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জামায়াত-শিবিরের সঙ্গে এক হয়ে এই নির্বাচনকে ‘ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিং’-এর মাধ্যমে পাতানো খেলায় পরিণত করেছে। তিনি আরও বলেন, ভোট কারচুপির অভিযোগে আমরা নির্বাচন বর্জন করলাম।
ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলের পক্ষ থেকে যেসব অভিযোগ আনা হয়েছে, সেগুলো হলো:
- ভোট জালিয়াতি: অধিকাংশ ভোটকেন্দ্রে ভোট প্রদান শেষে অমুছনীয় কালি ব্যবহার করা হয়নি, যার কারণে একজন ভোটার একাধিকবার ভোট দিতে সক্ষম হয়েছেন। এছাড়া মেয়েদের হলগুলোতে আইডি কার্ড পরিবর্তন করে একই মেয়ে বারবার ভোট দিয়েছে বলেও অভিযোগ করা হয়।
- অনিয়ম ও বাধা: পোলিং এজেন্টদের যথাসময়ে ভোটকেন্দ্রে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। এমনকি কিছু কেন্দ্রে প্রার্থীদেরও পরিদর্শন করতে বাধা দেওয়া হয়েছে। জামায়াত নেতার প্রতিষ্ঠান থেকে ব্যালট পেপার ছাপানো হয়েছে এবং তার কোম্পানিকেই সিসিটিভি মনিটরিংয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
- হলে বিশৃঙ্খলা: তাজউদ্দীন আহমদ হলে ভোটার তালিকায় ছবি না থাকায় ভোট বন্ধ ছিল। এছাড়া ২১নং হল এবং জাহানারা ইমাম হলে শিবির মব তৈরি করে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছে।
-
অন্যান্য অভিযোগ: বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলে জাল ভোট দেওয়া হয় এবং প্যানেলের ভিপি প্রার্থীকে হেনস্তা করা হয়। কিছু কেন্দ্রে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে কারচুপি করা হয়েছে। ভোটার অনুপাতে বুথের সংখ্যা কম থাকায় ভোটারদের ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে।