যুক্তরাষ্ট্র তাদের ভিসার নিয়মে একটি বড় পরিবর্তন এনেছে, যা বিশ্বজুড়ে কার্যকর করা হয়েছে। নতুন এই নিয়ম অনুযায়ী, এখন থেকে কোনো দেশের নাগরিককে মার্কিন ভিসার সাক্ষাৎকারের জন্য আবেদন করতে হলে তা নিজেদের দেশ বা বাসস্থানের মার্কিন দূতাবাস থেকেই করতে হবে। এর ফলে ভিসার দীর্ঘ লাইন এড়াতে অন্য কোনো দেশে গিয়ে দ্রুত অ্যাপয়েন্টমেন্ট নেওয়ার সুযোগ আর থাকছে না।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, “এখন থেকে অ-অভিবাসী ভিসা আবেদনকারীদের নিজ দেশ বা বাসস্থানের মার্কিন দূতাবাস বা কনস্যুলেটেই সাক্ষাৎকারের অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিতে হবে।”
নতুন নিয়মে কাদের অসুবিধা হবে?
মার্কিন সরকারের এই পরিবর্তনের সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়বে সেসব দেশের নাগরিকদের ওপর, যারা ভিসা অ্যাপয়েন্টমেন্টের জন্য দীর্ঘ অপেক্ষার সম্মুখীন হচ্ছিলেন। বিশেষ করে ভারতীয় নাগরিকদের অনেকে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করা এড়াতে মার্কিন ভিসার জন্য সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড বা জার্মানির মতো দেশে গিয়ে আবেদন করতেন। এখন থেকে ব্যবসা (বি১) বা পর্যটন (বি২) ভিসার জন্য অন্য কোনো দেশে গিয়ে আবেদন করা যাবে না।
তবে আফগানিস্তান, কিউবা বা ইরানের মতো যেসব দেশে মার্কিন দূতাবাস নিয়মিত ভিসা পরিষেবা দেয় না, সেখানকার নাগরিকেরা নির্দিষ্ট কিছু দূতাবাস থেকে ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন।
সাক্ষাৎকারের নতুন কড়াকড়ি
পাশাপাশি ২ সেপ্টেম্বর থেকে আরেকটি নতুন নিয়ম চালু হয়েছে। এখন থেকে বেশিরভাগ আবেদনকারীকে ব্যক্তিগতভাবে সাক্ষাৎকারে অংশ নিতে হবে। এর ফলে আগে যেখানে ইন্টারভিউ ছাড়া শুধু কাগজপত্র জমা দিয়ে ভিসা পাওয়া যেত, সেই ‘ড্রপবক্স’ সুবিধা অনেকটাই কমিয়ে আনা হয়েছে।
এই নতুন নিয়মের ফলে এইচ, এল, এফ, এম, জে, ই এবং ও–সহ বিভিন্ন ক্যাটাগরির ভিসার আবেদনকারীদের এখন দূতাবাসে যেতেই হবে। এমনকি ১৪ বছরের কম বয়সী শিশু এবং ৭৯ বছরের বেশি বয়সী ব্যক্তিদেরও সাক্ষাৎকারের জন্য উপস্থিত থাকতে হবে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই পরিবর্তন ভিসার প্রক্রিয়াকে আরও সুশৃঙ্খল করতে এবং অনিয়ম রোধে সহায়ক হবে।