রাত পোহালেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) এবং হল সংসদ নির্বাচন। মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকাল ৮টা থেকে শুরু হবে ভোটগ্রহণ। এ নির্বাচন উপলক্ষে সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) রাত থেকেই বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে প্রবেশপথে যাতায়াতে কড়া বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে, যা আগামী ১০ সেপ্টেম্বর সকাল পর্যন্ত ৩৪ ঘণ্টা বহাল থাকবে।
ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা ও চলাচল সীমাবদ্ধতা
ডিএমপি কমিশনার শেখ সাজ্জাত আলী জানিয়েছেন, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সোমবার ১৭৭১ জন এবং মঙ্গলবার ২০৯৬ জন পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। নিয়মিত বাহিনী ছাড়াও পুলিশের বিশেষায়িত দল, সোয়াত (SWAT) ও বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট দায়িত্বে রয়েছে। সাদা পোশাকে ডিবি সদস্যরাও টহল দিচ্ছেন।
এই ৩৪ ঘণ্টা সময়কালে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা এবং কর্মচারীগণ ব্যতীত অন্য কেউ ক্যাম্পাসে অবস্থান করতে পারবেন না। ক্যাম্পাসের মধ্যে থাকা শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পরিবারের সদস্যরা বিশেষ পাসের মাধ্যমে চলাচল করতে পারবেন। সবাইকে নিজ নিজ বৈধ আইডি কার্ড সঙ্গে রাখার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। এ সময়ে টিএসসির সকল সংগঠনের কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।
যানবাহন ও মেট্রো স্টেশনের নির্দেশনা
যানবাহনের ক্ষেত্রে কেবল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টিকারযুক্ত গাড়ি এবং জরুরি সেবায় নিয়োজিত যানবাহন (অ্যাম্বুলেন্স, পুলিশ, সাংবাদিক ইত্যাদি) প্রবেশ করতে পারবে। বাকি কোনো ধরনের যানবাহন ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে পারবে না।
এছাড়া, নির্বাচন উপলক্ষে টিএসসির মেট্রোরেল স্টেশনটিও বন্ধ রাখা হয়েছে। সোমবার বিকেল ৪টা থেকে মঙ্গলবার সারাদিন পর্যন্ত এই স্টেশন বন্ধ থাকবে।
অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা
ভোটারদের সুবিধার্থে অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের জন্য সকল বাসরুটের সার্ভিস চালু থাকবে। নিয়মিত রুটের পাশাপাশি বাসের সংখ্যাও বাড়ানো হয়েছে। এছাড়াও, ভোটকেন্দ্রে যাতায়াতের জন্য ক্যাম্পাসের মধ্যে শাটল সার্ভিস চলবে। শাটল সার্ভিস মঙ্গলবার সকাল ৭টা ৪৫ মিনিট থেকে বিকেল ৩টা ৫০ মিনিট পর্যন্ত চক্রাকারে চলমান থাকবে।
ভোটার ও প্রার্থীর পরিসংখ্যান
নির্বাচন কমিশন সূত্রমতে, এবারের ডাকসু নির্বাচনে মোট ভোটার ৩৯ হাজার ৮৭৪ জন। এর মধ্যে ছাত্রী ১৮ হাজার ৯৫৯ জন এবং ছাত্র ২০ হাজার ৯১৫ জন।
ডাকসুতে মোট ২৮টি পদের বিপরীতে প্রার্থী হয়েছেন ৪৭১ জন। পাশাপাশি ১৮টি হল সংসদে ১৩টি করে পদের জন্য ১ হাজার ৩৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। অর্থাৎ, এবারের নির্বাচনে একজন ভোটারকে মোট ৪১টি ভোট দিতে হবে।