মহানবীর আদর্শেই শান্তি ও কল্যাণের পথ : ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে প্রধান উপদেষ্টা

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর জীবনাদর্শ, সর্বজনীন শিক্ষা ও সুন্নাহ অনুসরণ করলেই আজকের দ্বন্দ্ব-সংঘাতময় বিশ্বে শান্তি, ন্যায় ও কল্যাণ নিশ্চিত করা সম্ভব। ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে তিনি এ আহ্বান জানান।

পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে দেশবাসী ও বিশ্ব মুসলিম উম্মাহকে শুভেচ্ছা ও মোবারকবাদ জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) দেওয়া এক বাণীতে তিনি বলেন, “ধর্মীয় ও পার্থিব জীবনে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর সুমহান আদর্শ ও সুন্নাহ বিশ্ববাসীর জন্য উৎকৃষ্ট অনুসরণীয় ও অনুকরণীয়। এর মধ্যেই নিহিত রয়েছে অফুরন্ত কল্যাণ, সফলতা ও শান্তি।”

প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, হজরত মুহাম্মদ (সা.) ছিলেন ‘রাহমাতুল্লিল আলামিন’— সমগ্র বিশ্বজগতের জন্য রহমত। মহান আল্লাহ তাআলা তাঁকে মানবজাতির হেদায়েত ও মুক্তির পথপ্রদর্শক হিসেবে পাঠিয়েছেন। কুরআনে বলা হয়েছে: “হে নবী, আমি আপনাকে সমগ্র বিশ্বজগতের জন্য রহমতস্বরূপ প্রেরণ করেছি” (সূরা আল-আম্বিয়া: ১০৭)।

তিনি উল্লেখ করেন, নবী করিম (সা.) মানবজাতিকে অন্ধকার থেকে আলোয়, অন্যায় থেকে ন্যায়ের পথে, অবিচার থেকে শান্তির পথে পরিচালিত করতে এসেছিলেন। তাঁর অনুপম চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য ও দয়া-দাক্ষিণ্যের জন্য আল্লাহ তাঁকে ঘোষণা করেছেন ‘উসওয়াতুন হাসানাহ্’—সুন্দরতম আদর্শ হিসেবে।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “নবী করিম (সা.)-এর শিক্ষা প্রতিটি যুগ ও শতাব্দীর মানুষের মুক্তির দিশারী হয়ে থাকবে। তাই আমাদের জীবনের সর্বক্ষেত্রে তাঁর আদর্শকে লালন ও অনুসরণ করা জরুরি।”

বাণীতে তিনি দোয়া করে বলেন, “পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) সবার মাঝে বয়ে আনুক অফুরন্ত শান্তি, কল্যাণ ও সমৃদ্ধি। মুসলিম উম্মাহর ঐক্য আরও সুসংহত হোক এবং মহানবীর (সা.) জীবনাদর্শ অনুসরণের মাধ্যমে আমাদের ইহকালীন ও পরকালীন কল্যাণ নিশ্চিত হোক।”

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top