আগে কাস্টমার কেয়ার এজেন্টদের ফোন করলে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হতো। এখন? — ফোন ধরার আগেই এক রোবটসুলভ কণ্ঠ বলে ওঠে, “Hello, how can I help you?”। হ্যাঁ, এটাই সেই চ্যাটবট (BOT), যে আপনার সমস্যার সমাধান করবে। যদিও অনেক সময় এমন উত্তরও দেয়, যা শুনে মনে হয়, রোবটের চেয়ে দোকানের দারোয়ান হয়তো ভালো বুঝত!
BOT আসলে কী?
চ্যাটবট হচ্ছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) নির্ভর এমন এক প্রযুক্তি, যেটা মানুষের মতো কথোপকথন করতে পারে। কেউ বলে এটিই ভবিষ্যতের কলসেন্টার এজেন্ট, আবার কেউ বলে—এরা সেই বুদ্ধিমান বন্ধু, যে কখনো অকারণে “Typing…” দেখিয়ে আপনাকে ঝুলিয়ে রাখে।
ব্যবহার বাড়ছে চোখে পড়ার মতো
ব্যাংক থেকে শুরু করে ই-কমার্স, টেলিকম থেকে স্বাস্থ্যসেবা—সবখানেই এখন BOT এর দৌরাত্ম্য। দিনে দিনে অফিসে সহকর্মীদের থেকেও বেশি কথা বলছে চ্যাটবট। (দুঃখজনক হলেও সত্যি)।
এক জরিপে দেখা গেছে, ২০২৭ সালের মধ্যে বিশ্বজুড়ে চ্যাটবট বাজারের আকার প্রায় ৪৫ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যাবে। মানে, BOT গুলো শুধু আড্ডা দিচ্ছে না, মোটা অংকের ব্যবসাও করছে।
সুবিধা, অসুবিধা আর একটু ‘মজার ঝামেলা’
– সুবিধা হলো – ২৪/৭ সার্ভিস, খরচ কম, গ্রাহক খুশি।
– অসুবিধা হলো – অনেক সময় প্রশ্ন করলে এমন উত্তর দেয়, যা শুনে গ্রাহকই চ্যাটবটকে প্রশ্ন করতে বাধ্য হয়: “তুমি কি ঠিক আছো?”
বাংলাদেশেও BOT এর দাপট
দেশের ব্যাংক, ই-কমার্স, টেলিকম কোম্পানিগুলো ধীরে ধীরে চ্যাটবট ব্যবহার করছে। তবে গ্রাহকদের একটা অভিযোগ—চ্যাটবট অনেক সময় “দুঃখিত, আমি বুঝতে পারিনি” বলে সমস্যাকে আরও জটিল করে তোলে।
টেক বিশেষজ্ঞদের মতে, BOT ভবিষ্যতে ব্যবসায় বিপ্লব ঘটাবে। তবে মানুষের আবেগ বোঝা, রসিকতা করা কিংবা গোপন তথ্য নিরাপদ রাখা—এ তিন জায়গায় BOT কে আরও অনেক দূর যেতে হবে।