মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্তরা সংসদ সদস্য বা সরকারি পদে অযোগ্য হবেন

মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত কোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠন হলে তিনি আর জনপ্রতিনিধি বা সরকারি কোনো পদে থাকতে পারবেন না। আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। বৈঠক–পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের প্রেস সচিব শফিকুল আলম এ তথ্য জানান।

প্রেস সচিব বলেন, “ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইমস ট্রাইব্যুনাল অ্যাক্ট ১৯৭৩”-এ নতুনভাবে সেকশন ২৩ যুক্ত করা হয়েছে। এই ধারা অনুযায়ী, কোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে সেকশন ৯–এর অধীনে ফরমাল চার্জ দাখিল হলে তিনি সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হওয়া বা বহাল থাকার অযোগ্য হবেন।

তিনি আরও জানান, একইভাবে অভিযুক্ত ব্যক্তি স্থানীয় সরকার পরিষদ বা প্রতিষ্ঠানের সদস্য, চেয়ারম্যান, মেয়র, প্রশাসক কিংবা প্রজাতন্ত্রের অন্য কোনো চাকরিতে নিয়োগ পাওয়ারও অযোগ্য হবেন।

এ ছাড়া বৈঠকে ‘বেসরকারি অংশগ্রহণে নবায়নযোগ্য জ্বালানিনির্ভর বাণিজ্যিক বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র স্থাপন নীতিমালা ২০২৫’ অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

পাশাপাশি অনুমোদন দেওয়া হয়েছে ‘টেলিকমিউনিকেশন নেটওয়ার্ক অ্যান্ড লাইসেন্সিং পলিসি ২০২৫’। সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি) ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব জানান, এই নতুন নীতিমালার ফলে দেশের টেলিযোগাযোগ খাতে প্রতিযোগিতা বৃদ্ধি পাবে, মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম্য কমবে এবং ভয়েস কল ও ইন্টারনেট সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে আসবে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top