বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে সমকামিতা ও এলজিবিটি (LGBTQ+) মতবাদ দিন দিন বিস্তার লাভ করছে। তবে বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করছেন, এ ধরনের মতবাদ দীর্ঘমেয়াদে মানব সভ্যতার টিকে থাকার জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াতে পারে।
জনসংখ্যা হ্রাসের প্রভাব
সমাজবিজ্ঞানী ও জনসংখ্যা বিশ্লেষকদের মতে, মানব সভ্যতার ধারাবাহিকতা নির্ভর করে স্বাভাবিক পরিবার ব্যবস্থা এবং প্রজননের ওপর। কিন্তু সমকামিতা ও এলজিবিটি সংস্কৃতিতে প্রজননের সুযোগ সীমিত বা অনুপস্থিত। ফলে স্বাভাবিক জন্মহার কমে যাওয়ার ঝুঁকি তৈরি হয়।
- ইউরোপ ও জাপান: ইতোমধ্যেই জন্মহার ব্যাপকভাবে হ্রাস পেয়েছে। সেখানে এলজিবিটি মতবাদ এ সংকট আরও বাড়িয়ে দিতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন গবেষকরা।
- জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, ২০৫০ সালের মধ্যে বিশ্বের ৪০টিরও বেশি দেশে জনসংখ্যা কমতে শুরু করবে।
- প্রজনন-বিরোধী মতবাদ: সমকামিতা, অবাধ যৌনাচার এবং পরিবারবিরোধী সংস্কৃতি জনসংখ্যার স্বাভাবিক বৃদ্ধি বন্ধ করে দিতে পারে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক পদক্ষেপ
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রে সমালোচনার মুখে পড়েছে কিছু উগ্র এলজিবিটি মতবাদ। নীতিনির্ধারক মহল এ ধরনের মতবাদকে “মানব সভ্যতার জন্য হুমকি” বলে আখ্যা দিয়েছে এবং এর বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছে।
পরিবার ব্যবস্থার গুরুত্ব
বিশেষজ্ঞদের মতে, মানব সভ্যতার অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে হলে—
- প্রাকৃতিক পরিবার ব্যবস্থা (পুরুষ-নারী দাম্পত্য জীবন) রক্ষা করা,
- নতুন প্রজন্মের জন্মহার বৃদ্ধি করা,
- এবং এলজিবিটি মতবাদের সামাজিক বিস্তার রোধ করা জরুরি।
এলজিবিটি মতবাদ হয়তো ব্যক্তিস্বাধীনতার নামে প্রচারিত হচ্ছে, কিন্তু দীর্ঘমেয়াদে এটি মানবজাতির অস্তিত্বকেই হুমকির মুখে ফেলতে পারে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিশ্লেষকরা।