চলতি মাসের শেষের দিকে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে (UNGA) ফিলিস্তিনকে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেবে বেলজিয়াম। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ম্যাক্সিম প্রেভট মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) এই ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি একইসঙ্গে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপের কথাও জানিয়েছেন।
স্বীকৃতির শর্ত ও নিষেধাজ্ঞা
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ‘এক্স’-এ দেওয়া এক পোস্টে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও উপ-প্রধানমন্ত্রী ম্যাক্সিম প্রেভট লিখেছেন, “জাতিসংঘ অধিবেশনে বেলজিয়াম কর্তৃক ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়া হবে! এবং ইসরায়েলি সরকারের বিরুদ্ধে কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে।”
প্রেভট জানান, বেলজিয়াম ইসরায়েলের ওপর ১২টি নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবে। এর মধ্যে রয়েছে অধিকৃত পশ্চিম তীরে অবৈধ ইসরায়েলি বসতি থেকে উৎপাদিত পণ্য আমদানির ওপর নিষেধাজ্ঞা এবং “ইসরায়েলি কোম্পানিগুলোর সঙ্গে সরকারি নীতি পর্যালোচনা”।
তিনি আরও বলেন, গাজায় চলমান মানবিক ট্র্যাজেডির পরিপ্রেক্ষিতে বেলজিয়াম এই প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে। তবে স্বীকৃতির এই প্রক্রিয়া কেবল তখনই আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যকর হবে যখন গাজা থেকে সর্বশেষ বন্দিকে মুক্তি দেওয়া হবে এবং হামাসের ফিলিস্তিনের শাসন ব্যবস্থায় কোনো ভূমিকা থাকবে না।
আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপট
বেলজিয়ামের ফ্লেমিশ জাতীয়তাবাদী দলের প্রধানমন্ত্রী বার্ট ডি ওয়েভার গত মাসে বলেছিলেন যে, ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার বিষয়টি কঠোর শর্তের সঙ্গে যুক্ত থাকা উচিত।
এর আগে গত জুলাইয়ের শেষে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ ঘোষণা করেছিলেন যে, জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের বৈঠকে যখন বিশ্বনেতারা মিলিত হবেন, তখন ফ্রান্স ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেবে। আগামী ২২ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশন চলাকালে ফ্রান্স এবং সৌদি আরব ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার বিষয়ে একটি বৈঠকের আয়োজন করবে। একই সময়ে অস্ট্রেলিয়া, কানাডা এবং যুক্তরাজ্যও শর্ত সাপেক্ষে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে।